যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ
যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ১ শতাংশ পৌঁছে গেছে। ১৯৮০ সালের পর দেশটিতে মূল্যস্ফীতি এই প্রথম ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। যা দেশটি ইতিহাসে বিগত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অথচ গত আগস্টে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (ওএনএস) অনুসারে সেপ্টেম্বর মাসে দাম বেড়েছে ০.৫ শতাংশ। খাবারের দাম বেড়েছে ১৪.৬ শতাংশ, যা ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির হার, যেখানে খাবারের খরচ এবং হোটেলে থাকার খরচ বেড়েছে ৯.৭ শতাংশ। কেবল তাই নয়, মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা পাউন্ডের মান কমে গেছে। এখন পর্যন্ত ০ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। ডলার বিপরীতে পাউন্ডের দাম কমেছে ১ দশমিক ১৩ ডলার।
দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি। বিগত এক বছরে দেশটিতে সাড়ে ১৪ শতাংশেরও বেশি বেড়ে খাদ্যদ্রব্যের দাম। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে যাওয়া ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের জন্য উদ্বেগজনক হবে। আগামী ৩ নভেম্বর ব্যাংক অব ইংল্যান্ড নতুন করে সুদহার নির্ধারণের জন্য বৈঠক বসবে। ব্যাংকের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি বলেছেন, ‘মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
ইংল্যান্ডে চলমান মূল্যস্ফীতি আগামী মাসে সবচেয়ে বেশি হবে এবং ২০২৩ সালের শুরু থেকে তা কমতে থাকবে। এর পেছনে কারণ হিসেবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগামী বছর দেশজুড়ে পণ্যের সরবরাহ চেইনে যত বাধা আছে তার সবগুলোই সরে যাবে এবং ভোক্তাদের চাহিদাও বাড়বে।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকসের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের পরিচালক ড্যারেন মরগান বলেছেন: ‘গত মাসে সামান্য হ্রাসের পর হেডলাইন মূল্যস্ফীতি গ্রীষ্মের শুরুতে দেখা উচ্চতায় ফিরে এসেছে। এ বৃদ্ধি খাদ্যসামগ্রীর আরো বৃদ্ধির কারণে চালিত হয়েছে, যা দেখেছে সবচেয়ে বড় বার্ষিক বৃদ্ধি। এটি প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে, যেখানে হোটেলের দামও গত বছর এ সময়ে কমার পর বেড়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির সাম্প্রতিক বৃদ্ধি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করে যাতে ব্যাংকে লাগাম টানতে পরের মাসে একটি বড় হার বৃদ্ধির আদেশ দেওয়া হয়। শহরের ব্যবসায়ীরা ব্যাংক রেট পুরো শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধির আশা করছেন। স্থির মর্টগেজ রেট ইতোমধ্যেই তীক্ষ্নভাবে বেড়েছে।