সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন

ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রোববার রাতে এক বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল। তবে এজন্য তাকে মোকাবেলা করতে হবে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডান্টের সাথে।
বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন ঋষি সুনাক। ১৪৪ জন আইনপ্রণেতা তাকে সমর্থন করছেন। এ ছাড়া যারা বরিসকে সমর্থন করছিলেন তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন এখন ঋষি সুনাককে সমর্থন করার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে পেনি মরডান্টকে সমর্থন দিয়েছেন ২৪ আইনপ্রণেতা। তবে জনসনের সমর্থনকারী ৫৯ জন আইনপ্রণেতা ও অন্যান্যদের সমর্থন পেলে পেনি মরডান্টের জন্যও জয়ের ভালো সম্ভাবনা থাকছে।
কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচিত করা হবে। পার্টির এই নেতাই মূলত প্রধানমন্ত্রী হবেন। বর্তমান পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীনদের আইনপ্রণেতা রয়েছেন ৩৫৭ জন। তারা নতুন দলনেতা নির্বাচিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে নাম লেখানোর জন্য একজন প্রার্থীর পক্ষে অন্তত ১০০ আইনপ্রণেতার সমর্থন প্রয়োজন।
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ছুটি কাটানো ছেড়ে গত কালই লন্ডন পৌঁছেছিলেন বরিস। জানিয়েছিলেন, দেশকে আরও এক বার নেতৃত্ব দিতে তিনি প্রস্তুত। দলের একটা বড় অংশ চায়নি যে, বরিস এই ভোটে লড়ুন। তবু ৫৯ জন এমপি সমর্থন করেছিলেন তাকে। এ দিন বরিস যদিও দাবি করেছেন, ১০২ জন তার পাশে ছিলেন। তা হলে লড়ছেন না কেন? বিবৃতিতে বরিস বলেন, ‘পার্লামেন্টে একটা ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে কার্যকরী ভাবে সরকার চালানো সম্ভব নয়।’
এখন সত্যিই যদি বরিসের সঙ্গে ১০২ জনের সমর্থন থাকে এবং তারা যদি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঋষির বদলে পেনিকে সমর্থন করেন, তা হলে পেনির সামনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা থাকছে। অন্যথায় আজই ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে ব্রিটেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button