যুক্তরাজ্যে আতিথেয়তা ব্যবসার এক তৃতীয়াংশ বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে
পাব, রেস্তোরাঁ ও হোটেলসহ যুক্তরাজ্যের আতিথেয়তা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আগামী বছরের শুরুতে জ্বালানি ব্যয় বৃদ্ধি ও বুকিং হ্রাস পাওয়ায় এমনটি ঘটতে পারে। এক নতুন জরিপে এ তথ্য জানা গেছে। জরিপে ত্রৈমাসিক আতিথেয়তা ইন্ডাস্ট্রির ৩৫ শতাংশ ব্যবসায়ী জানান যে, তারা বছরের শেষ দিকে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা ব্যবসা পরিচালনায় অক্ষম হয় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। আর প্রায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বলেছে যে, তারা উচ্চ জ্বালানি ব্যয় ও খাদ্যের মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন।
আতিথেয়তা খাতের তিন চতুর্থাংশেরও বেশি অপারেটর অর্থাৎ ৭৭ শতাংশ খাদ্য ও পানীয় বিক্রয় হ্রাস পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৫%এর মতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। জরিপটি যৌথভাবে পরিচালনা করে ইউকে হসপিটালিটি, ব্রিটিশ বিয়ার অ্যান্ড পাব অ্যাসোসিয়েশন, ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অফ ইনকিপিং এবং হসপিটালিটি আলস্টার।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, আতিথেয়তা খাত যে মারাত্মক পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে জরিপে তা প্রকাশিত হয়েছে।
এদের অনেকে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয়সংকটে খাদের কিনারে এসে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে জ্বালানি ব্যয় বৃদ্ধি, পণ্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি এবং ভোক্তাদের আস্থা হ্রাসের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে এই জরিপে।
তাদের মতে, যদি জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তবে আগামী সপ্তাহ কিংবা মাসসমূহে বৃটেনের আইকনিক আতিয়েতা খাতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হারিয়ে যেতে পারে।
আতিথেয়তা ও হোটেল খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোই মহামারী কালে মাসের পর মাস বন্ধ ছিল। এই গ্রীষ্মে ব্যবসা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো। যেহেতু লোকজন স্বাধীনভাবে মেলামেশার সক্ষমতা ফিরে পেয়েছে।
তবে খাদ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং শ্রমিকের ঘাটতি বিশেষভাবে শেফের মতো দক্ষ কর্মীর অভাব মজুরি বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে অনেক পাব ও হোটেল ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে কিংবা শীতে মূল্যবৃদ্ধির জন্য ব্যবসা করতে পারবে না বলে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।