যুক্তরাজ্যে এইচএসবিসি’র ১১৪ টি শাখা বন্ধ হচ্ছে
এইচএসবিসি বলেছে, তারা আগামী বছর যুক্তরাজ্যে তাদের ১১৪ টি শাখা বন্ধ করে দেবে। কভিড মহামারির পর থেকে গ্রাহকদের এই ব্যাংক ব্যবহার হ্রাস পাওয়ায় তারা এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। ব্যাংকটি ঘোষনা করেছে যে, তারা বন্ধকরণের এই ঢেউয়ের মধ্যে দিয়ে দেশের এক চতুর্থাংশ শাখা বন্ধ করে দেবে। গত বছর থেকে এ পর্যন্ত তারা ব্যাংকটির দেড় শতাধিক শাখা বন্ধ করেছে। এইচএসবিসি বলেছে, এই ব্যাংকের শাখাসমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে গত ৫ বছরে নিয়মিত গ্রাহকদের সংখ্যা ৬৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কভিড মহামারিকালে এটা অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পায়।
ব্যাংকটির তথ্য অনুযায়ী, যেসব শাখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তার অনেকগুলোতে সপ্তাহে আড়াইশ’র কিছু বেশী গ্রাহক লেনদেন করছেন। ব্যাংকের শাখাগুলোর বন্ধ হওয়ার বিষয়টি বুধবারে ঘোষনা করা হয়। এটা কার্যকর হবে আগামী বছরের এপ্রিল থেকে। প্রথম মাসে বন্ধ হবে ১১ টি এবং বাকীগুলো আগামী বছরের আগষ্ট পর্যন্ত বন্ধ হবে। এধরনের বন্ধ হওয়া শাখাগুলোর মধ্যে রয়েছে টুইকেনহ্যাম, পুটনি এবং ডোভারের শাখাসমূহ। একই সঙ্গে বৃস্টলের তিনটি শাখা।
ব্যাংকটি আরো বলেছে, তারা তাদের অবশিষ্ট শাখাগুলোকে আরো উন্নত ও হালনাগাদ করতে ১০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাজ্যের ৬৯ টি শাখা বন্ধের ঠিক কয়েকমাস পরে তারা এই ঘোষনা প্রদান করে। সেন্ট্রাল লন্ডনে কয়েকটি শাখাসহ ৮২ টি শাখা গত বছর বন্ধ করা হয়, যা ঐ বছর বন্ধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ।
সর্বশেষ বন্ধের ঘোষনার পর এইচএসবিএস ইউকে’র জ্যাকি উহি বলেন, অনেক শাখায় সর্বকালের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ ব্যাংকিং ও ফুটবলের ক্ষেত্রে তাদের পন্থা পরিবর্তন করছে। ব্যাংকের যুক্তরাজ্যের বিতরণের এমডি বলেন, একটি শাখা বন্ধ করা সহজ এবং তা সহজভাবে নেয়া যায়। কিন্তু বন্ধ শেষে গ্রাহকদের সামাল দিতে প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন ফ্রি টেবিল ডিভাইসের জন্য। আমাদের অধিকাংশ লোকজনের জন্য দূরবর্তী ব্যাংকিং একটি রীতিতে পরিনত হতে যাচ্ছে।