ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ৩৯ লাখ মুসলিমের বসবাস
সম্প্রতি প্রকাশিত এক জনসংখ্যা জরীপে দেখা গেছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে মুসলিম জনসংখ্যা ৩৯ লাখ। গত এক দশকে এই সংখ্যা ১২ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপাত্ত থেকে প্রতীয়মান হয় যে, যদি স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মুসলমানদের হিসাবে আনা হয়, তবে যুক্তরাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যা এখন প্রায় ৪০ লাখ।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিংসটিক্স অনুযায়ী, ২০২১ সালে নিজেদের মুসলিম বলে পরিচয়দানকারী জনসংখ্যা ৩৯ লাখ, যা ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের জনসংখ্যার ৬.৫ শতাংশের সমতূল্য। ২০১১ সালের মুসলিম জনসংখ্যার ২৭ লাখ থেকে এ পর্যায়ে উত্তরন হয়েছে এখন, যা জনসংখ্যার ৪.৯ শতাংশ। লন্ডনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসলমানের বসবাস। লন্ডনবাসীদের ১৫ শতাংশ নিজেদের মুসলিম বলে পরিচয় প্রদান করেন। ২০২১ সালের পর এটা ১২.৬ শতাংশ বেড়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, শুধুমাত্র লন্ডনেই ১৩ লাখ মুসলিম জনগোষ্ঠী বাস।
টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকায় মুসলমানের সংখ্যা সর্বোচ্চ দেখা যায়। যা এই এলাকার মোট জনসংখ্যার ৩৯.৯ শতাংশ। ২০১১ সালে এটা ছিলো ৩৮ শতাংশ। অন্যান্য সর্বাধিক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলো হচ্ছে ডারউইনসহ ব্ল্যাকবার্ন (৩৫.০ শতাংশ) এবং নিউহ্যাম (৩৪.৮ শতাংশ), ধর্ম ভিত্তিক জনসংখ্যা জরীপে স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ক্রমশ: কমছে। লোকজন অধিক হারে খৃষ্টধর্ম ত্যাগের ফলে এটা ঘটছে।
জরীপে দেখা গেছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে হিন্দুদের সংখ্যা ১০ লাখ, যা ২০২১ সালের সামগ্রিক জনসংখ্যার ১.৭ শতাংশের সমতূল্য। ২০২১ সালে তা ছিলো ১.৫ শতাংশ অর্থ্যাৎ ৮১৮০০০ জন। উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সামগ্রিক জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ। জনসংখ্যার বিষয়ে মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন- এর সেক্রেটারি জেনারেল জারা মোহাম্মদ বলেন, যখন আমাদের দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন তরুন মুসলিম জনসংখ্যা দেশের একটি কৌশলগত সম্পদ হিসেবে বিদ্যমান। গত শতাব্দিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের মুসলিমরা দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রান প্রবাহে বিপুল অবদান রেখেছেন।