যুক্তরাজ্যের এএন্ডই-তে রোগীদের রেকর্ড বিলম্ব

এক নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের এক্সিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সী (এএন্ডই) বিভাগকে রেকর্ড পরিমান বিলম্ব মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এখানে প্রায় এক তৃতীয়াংশ রোগীকে ৪ ঘন্টারও বেশী সময় অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে। গত নভেম্বর মাসে এএন্ডই বিভাগে ৪ ঘন্টা ধরে অপেক্ষমান রোগীদের সংখ্যা ৬৮.৯ শতাংশ হ্রাস পেতে দেখা যায়। রেকর্ড শুরুর পর থেকে এ সংখ্যা ছিলো সর্বনিম্ন।
গত অক্টোবরে এনএইচএস- এ চিকিৎসা সেবার জন্য অপেক্ষমান লোকের সংখ্যা ৭২ লাখে বৃদ্ধি পায়, যা একটি নতুন উচ্চ সংখ্যা। এর আগের মাসে এই সংখ্যা ছিলো ৭১ লাখ। গত বৃহস্পতি ‘স্ট্রেপ-এ’র দরুন সেবার চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের কাছে এনএইচএস কর্তৃক প্রেরিত একটি সাবধান বানীর পর এই পরিসংখ্যানটি এসেছে। বিশেষজ্ঞরা এনএইচএস-কে মানসম্মত চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে স্টাফদের নীতি নৈতিকতার ঘাটতির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গত মধ্য নভেম্বর থেকে প্রতিদিন অর্ধ লক্ষাধিক স্টাফ অসুস্থ হচ্ছেন। এই পরিসংখ্যান এসেছে এমন এক সময়ে যখন এনএইচএস নজিরবিহীন ধর্মঘটের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। আগামী ক্রিসমাসের পূর্বেই অ্যাম্বুলেন্স স্টাফ ও অন্যান্য সেবা কর্মীরা এই ধর্মঘট করবে।
দ্য কিংস ফান্ড- এর থিংক ট্যাংক ড্যানিয়েল জেফারিজ বলেন, প্রতি ৭ টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটির ক্ষেত্রেই এক ঘন্টারও বেশী সময় বিলম্ব হচ্ছে এএন্ডই টিম কর্তৃক রোগীর মূল্যায়ন করতে। এমনকি একজন রোগীর অবস্থা জরুরী ভিত্তিতে ভর্তির মতো খারাপ হলেও ৩৮ হাজার রোগীকে এএন্ডই-তে ১৮ ঘন্টারও বেশী আটকা পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এর কারন হাসপাতালগুলো ইতোমধ্যে পরিপূর্ন। তিনি এএন্ডই বিভাগের সমস্যাবলী ব্যাখ্যা করেন এবং বলেন,অ্যাম্বুলেন্স থেকে রোগী হস্তান্তরে বিলম্বের পেছনে হাসপাতাল হতে রোগী ছাড়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা বিশেষভাবে দায়ী। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে হাসপাতালে ১৩ হাজার ৩শ’ রোগী আটকা পড়ে। এই সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশী।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button