ধর্মঘটকালে অ্যাম্বুলেন্সগুলো সকল কলে সাড়া দিতে পারবে না
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে বলেছেন, এ মাসে শ্রমিক কর্মীরা ধর্মঘটে গেলে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অ্যাম্বুলেন্সের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত পরিকল্পনাগুলো জরুরী ক্ষেত্রে সাড়াদানে সক্ষম না-ও হতে পারে।
ইউনিয়নগুলো বলেছে, তারা জীবনসংহারি ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে সহায়তা করবে, যেগুলো এক নম্বর ক্যাটাগরির অন্তর্ভূক্ত। তারা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্ববৃহৎ ধর্মঘট করতে যাচ্ছে আগামী ২১ ও ২৮ ডিসেম্বর তারিখে। তবে এটা এখনো নিশ্চিত নয় লোকজনের নিকট থেকে দুই নম্বর ক্যাটাগরীর জরুরী কলের ক্ষেত্রে তারা সাড়া দেবে কি-না। এই ক্যাটাগরীতে রয়েছে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও মৃগী রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বার্কলে ইউনিয়নগুলোর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। ইউনিয়নগুলোর সাথে আলোচনাকালে তিনি জানতে চাইবেন, ধর্মঘটকালে তারা দুই নম্বর ক্যাটাগরীর কলের ক্ষেত্রে সাড়া দেবে কি-না। ইউনিয়নসমূহ পতনের ফলে জখম হওয়া সহ তিন নম্বর ক্যাটাগরীর ইমার্জেন্সী কলের ক্ষেত্রে সাড়া দেবে না বলে জানিয়েছে। বার্কলে বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ন যে ক্যাটাগরী থ্রি এবং ফোরের জরুরী কলসমূহ ইতোমধ্যে কাভারকৃত, কারণ এটা এনএইচএস- এর ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সরকারের জরুরী পরিকল্পনাসমূহের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই জরুরী বা ঘটনাক্রমিক পরিকল্পনার দিকে লক্ষ্য করতে পারি এবং এসব উদ্যোগ নিতে পারি। তবে এতে দৈনিক ৩ হাজার অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা কাভার করা যাবে না। এক্ষেত্রে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে, আমরা জনগনকে অ্যাম্বুলেন্স দিতে পারবো না।
তিনি বলেন যে, তিনি ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সাথে আলোচনায় প্রস্তুত। মজুরীর বিষয় ছাড়াও অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো স্টাফ, এনএইচএস- এর মান, টেক, অফ স্টাফ ও স্টাফিং লেভেলগুলোকে প্রভাবিত করে।
জিবিএম, ইউনিয়ন ও ইউনাইট নামক ইউনিয়নগুলো ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মজুরী বৃদ্ধির বিষয়টিকে অস্বীকার করায় সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে এই ধর্মঘট আহ্বান করেছে।