যুক্তরাজ্যে অ্যাম্বুলেন্স স্টাফরা ধর্মঘটে যাচ্ছেন ২১ ডিসেম্বর
২১ ডিসেম্বর ইংল্যান্ড ও ওয়েলস্- এর অ্যাম্বুলেন্স স্টাফরা ধর্মঘটে যাচ্ছেন। বেতন বা মজুরী সংক্রান্ত দাবিতে তারা এই ধর্মঘট আহ্বান করেছেন। তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ইউনিয়ন ইউনিসন, জিএমবি এবং ইউনাইট সমন্বিতভাবে এই ধর্মঘট ডেকেছে, যা অতীব জরুরী কল ছাড়া অন্যান্য সকল কলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে ১৫ ও ২০ ডিসেম্বর ধর্মঘটের প্রস্তুতি নিচ্ছে রয়াল কলেজ অব নার্সিং- এর সদস্যরা। এরপর এসেছে এই অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘটের ঘোষনা।
এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স ইউনিয়ন জিএমবি তার সদস্যদের ২৮ ডিসেম্বরেও ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়েছে। ধর্মঘটে প্যারামেডিক্স ছাড়াও কন্ট্রোল রুম স্টাফ ও সাপোর্ট কর্মীরাও যোগ দেবে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ জনগনের সহায়তায় সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ধর্মঘট শুরু ও মেয়াদের বিষয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষেবাগুলোর মধ্যে তারতম্য থাকলেও এগুলো ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে থাকবে। অবশ্য পূর্ব ইংল্যান্ডে সেবাকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
গত মাসে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাম্বুলেন্স- এর প্রধান নির্বাহী সতর্ক করে বলেন, ‘পঙ্গুত্বকারী বিলম্বে’র কারনে রোগীরা মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। এক্সিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সী বিভাগে আসার পর অ্যাম্বুলেন্স ক্রুরা এই বিলম্বের সম্মুখীন হচ্ছেন। ইউনিসন-এর স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধান সারা গর্ডন বলেন, শুধুমাত্র ক্রিসমাসের দোহাই দেয়া ছাড়া আমাদের ধর্মঘটের বিরুদ্ধে সরকারের দোষারোপের কোন সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, অ্যাম্বুলেন্স স্টাফ ও তাদের স্বাস্থ্য সহকর্মীরা কাউকে অসুবিধায় ফেলতে চান না। কিন্তু মন্ত্রীরা মজুরীর বিষয়ে কথা বলতে রাজী নন। মজুরী এতোই স্বল্প যে, এনএইচএস কর্মীদের চাকুরী ত্যাগ বন্ধ করা যাচ্ছে না। জনগন জানে দীর্ঘ বিলম্বের মূল কারন। রোগীদের যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী স্বল্পতা বাড়ছে। বিগত ২০১৪ সালে অ্যাম্বুলেন্স স্টাফরা ধর্মঘট করেছিলো।