সুনাকের এসাইলাম পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন
জাতিসংঘ বলেছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ক্ষুদ্র নৌকায় করে আসা অভিবাসীদের আশ্রয় প্রদান অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক আইন লংঘনের পরিকল্পনা করছেন এবং ব্রিটেনের মানবিক রীতিনীতিকে খর্ব করছেন। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হাজারো আলবেনীয়কে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো, আশ্রয় প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করন, আধুনিক দাসত্ববৃত্তির দাবিকে কঠোরতর করা, হোটেলের ১০ হাজার অভিবাসীকে নিতে অভ্যর্থনা কেন্দ্র খোলা এবং ডিঙি নৌকা পরিচালনার জন্য অধিক সংখ্যক লোককে বিচারের সম্মুখীন করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
সমালোচকেরা ‘নিষ্ঠুর, অকার্যকর ও বেআইনী’ বলে এসব পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন এবং ইউএন রিফিউজী এজেন্সী (ইউএমএইচসিআর) এর আইনানুগ বাধ্যবাধকতা সমুন্নত রাখার জন্য ব্রিটেনের কাছে আবেদন জানিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’সহ অনেক এমপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সহায়তা প্রার্থী আধুনিক দাসত্ববৃত্তির শিকারদের আবশ্যকীয় ‘বস্তুনিষ্ট প্রমানাদি’র ব্যাপারে নতুন প্রতিবন্ধকতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মিসেস মে বলেন, আধুনিক দাসত্ববৃত্তি একটি অত্যন্ত বাস্তব ও বিদ্যমান হুমকি। আধুনিক দাসত্ব আইন-২০১৫- এর প্রবক্তা মিসেস মে আরো বলেন, এই ভয়ংকর ও মারাত্মক অপরাধের শিকারদের জন্য আমাদের জগৎজোড়া সুরক্ষাকে খর্ব করে এমন কিছুই আমাদের করা উচিত নয়।
মিঃ সুনাক এমপিদের বলেন, তার প্রস্তাবিত আইন নিঃসন্দেহে এটা স্পষ্ট করবে যে, কেউ যদি অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে, তবে তাকে এখানে থাকতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে তাকে আটক করা হবে এবং দ্রুততার সাথে তার নিজদেশে কিংবা কোন একটি নিরাপদ দেশে ফেরত পাঠানো হবে, যেখানে তার আশ্রয়ের আবেদন বিবেচনা করা হবে।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, বৈধ পথসমূহ দিয়ে আসা লোকজনের আশ্রয় সীমিতকরন ১৯৫১ সালের রিফিউজী কনভেনশন- এর মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থী এবং সরকার কর্তৃক সমর্থিত পুনর্বাসন কর্মসূচীগুলো যুক্তরাজ্যে আগত আশ্রয়প্রার্থী ও তাদের সরাসরি আবেদনের সুরক্ষা প্রদানের বাধ্যবাধকতার প্রতিস্থাপন হতে পারে না।