‘আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় প্রেরণ আইনসম্মত’
যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট বলেছে, আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় প্রেরনের পরিকল্পনা আইনসম্মত। সম্প্রতি এক রায়ে হাইকোর্ট যুক্তরাজ্য সরকারের এই বিতর্কিত পরিকল্পনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, যা একটি বড়ো ধরনের পরিনতি। বিচারকেরা এই মধ্য আফ্রিকার দেশে আশ্রয় প্রার্থীদের প্রেরন বন্ধের একটি আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। আবেদনটি করা হয় আশ্রয়প্রার্থী, এইড গ্রুপ ও বর্ডার অফিশিয়ালদের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে।
অবশ্য দু’জন বিচারক হোম অফিসের সমালোচনা করে বলেন, সরকার গত জুনে এই স্কীমের আওতায় বহিষ্কারের প্রচেষ্টাকালে ৮ ব্যক্তির পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যর্থ হয়।
সরকারের এই আংশিক বিজয়ের অর্থ এই নয় যে, লড়াই বন্ধ হয়ে যাবে। আরো আপীল করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে মানবাধিকার সংক্রান্ত একটি ইউরোপীয় আদালত আইনী প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আশ্রয় প্রার্থীদের বহিষ্কারে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক কর্তৃক যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয় প্রার্থনা থেকে বিরত রাখার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার প্রদানের পরই এই রুলিং বা আদেশটি এসেছে। ইতোমধ্যে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ছোট্ট নৌকার মাধ্যমে ৪৪ হাজারেরও বেশী লোক যুক্তরাজ্যে অবতরন করেছে। এদের মধ্যে গত সপ্তাহে ৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে নৌকাডুবিতে। ধারনা করা হচ্ছে, কিছু আবেদনকারী, যারা পাবলিক ও কমার্শিয়াল সার্ভিস, ট্রেড ইউনিয়ন, চ্যারিটিসমূহ এবং ডিটেনশন অ্যাকশন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করবে।
বিচারকদের একজন লর্ড জাস্টিস লিউয়িস বলেন, আদালত এই উপসংহারে উপনীত হয়েছে যে, আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় স্থানান্তরের সরকারী সিদ্ধান্ত আইনানুগ এবং তাদের আশ্রয় দাবি রুয়ান্ডায় নির্ধারিত হবে, যুক্তরাজ্যে নয়। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে, সরকারের অবশ্যই প্রত্যেক ব্যক্তির অবস্থা বা পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে যার অর্থ হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে তার দাবি বিবেচনা করা উচিত কি-না কিংবা তাকে রুয়ান্ডায় না পাঠানোর ক্ষেত্রে অন্য কোন যৌক্তিক কারন আছে কি-না।