ধর্মঘটে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস স্থবির
যুক্তরাজ্যের জনৈক শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতালসমূহের বাইরে অপেক্ষমান অ্যাম্বুলেন্সের ভিড়ের কারনে এক দিনে ৪ হাজার ২৩২ ঘন্টা নষ্ট হয়েছে। ধর্মঘটের কারনে মারাত্মক বিলম্বের দরুন এমনটি ঘটেছে। কলেজ অব প্যারামেডিক্স এর প্রেসিডেন্ট ডাঃ জন মার্টিন বলেন, এনএইচএস লন্ডন কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান ১৭৬ টি অ্যাম্বুলেন্সের সমতূল্য। এভাবে আমাদের সদস্যদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। তাদেরকে প্রতিদিন একজন রোগীকে হস্তান্তরের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে হাসপাতালে তাদের পুরো শিফট ব্যয় করতে হচ্ছে। ইমার্জেন্সী বিভাগের (ইডি) চিকিৎসকদেরও এমনটি করতে হচ্ছে, যা হতাশাব্যঞ্জক। হতাশার বিষয় হচ্ছে, এভাবে তারা শ্রান্ত ক্লান্ত। তারা ভালো প্যারামেডিক্স হিসেবে ফিরে যেতে চান। একথাটি এসেছে রক্ষনশীল দলের এমপি লুসি অ্যালানের বক্তব্যের পর।
লুসি জানান, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে এক মাসে ৪৪ হাজার ঘন্টা নষ্ট হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের কারনে। হাসপাতালগুলোর বাইরে অপেক্ষা করতে গিয়ে এটা ঘটেছে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিস বলেছে, যদি এনএইচএস- এর ধর্মঘট রোধ করতে না পারেন, তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে’র পদত্যাগ করা উচিত। দলটির ডেপুটি লীডার ডেইজী কুপার বলেন, আমরা এসব ধর্মঘট বন্ধে ১১ ঘন্টা আছি এবং যদি সরকার নার্স ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসগুলোর সাথে যথাযথাভাবে আলোচনা না করে, তবে এজন্য জনগনকেই আসলে খেসারত দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, স্টিভ বার্কলেকে অবশ্যই আলোচনায় যেতে হবে এবং এখনি ধর্মঘটের সমাধান করতে হবে। একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী শীতকালীন সংকটে যদি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে সচল রাখতে না পারেন, তবে তিনি ঐ পদের যোগ্য নন এবং অবশ্যই তার পদত্যাগ করা উচিত।
এনএইচএস ইংল্যান্ডের জরুরী সেবা’র ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর অধ্যাপক জুলিয়ান রেডহেড এমপিদের বলেন, গুরুতর রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি যে, রোগীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সম্ভব সব করছি।
গত মঙ্গলবারের সভায় প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও তার মন্ত্রীবর্গ ধর্মঘটের বিষয়ে কোন আলোচনা করেননি, যদিও নার্সরা আবার ধর্মঘটে যাচ্ছেন এবং অ্যাম্বুলেন্স শ্রমিকেরা পদক্ষেপ গ্রহনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।