‘অভিবাসীদের অবৈধভাবে আটক রাখা হয়েছে’
হোম অফিসের ফাঁস হওয়া এক ই-মেইলের তথ্য অনুসারে, কয়েকশ’ অভিবাসীকে ইমিগ্রেশন রিমোভেল সেন্টারসমূহে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছে। বিবিসি নিউজ সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে। যুক্তরাজ্যের ম্যানস্টন মাইগ্রেন্ট প্রোসেসিং ফ্যাসিলিটি থেকে ফাঁস হওয়া এক ই-মেইল সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে ৪ শ’ লোককে আটক রাখার জন্য ডিটেনশন সেন্টারগুলোকে ব্যবহার করা হয়। ই-মেইলে আরো বলা হয়, তাদের আটক রাখা আইনসম্মত নয়। তাদেরকে এএসএপি হোটেলসমূহে হস্তান্তর করা আবশ্যক। হোম অফিস বলেছে, ক্ষুদ্র নৌকা দিয়ে আসা নজীরবিহীন সংখ্যক এসাইলাম সিকার সিস্টেমে বিপুল চাপ সৃষ্টি করেছে। বিভাগটি আরো বলেছে, অসহায় হয়ে পড়তে পারে এমন আশ্রয় প্রার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা তাদের একটি আইনানুগ দায়িত্ব। কর্মকর্তারা লোকজনকে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব হোটেল কিংবা অন্যত্র স্থানান্তরের কাজে নিরলস কাজ করছেন।
ই-মেইলটি ৪ নভেম্বর প্রেরণ করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানের ম্যানস্টন পরিদর্শনের একদিন পর এটা প্রেরিত হয়। তিনি অতিরিক্ত লোকজনে পূর্ন ম্যানস্টনের মাইগ্রেন্ট প্রোসেসিং ফ্যাসিলিটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন চাপের মুখে।
তথ্য স্বাধীনতা আইনের অধীনে প্রাপ্ত এক সিরিজ ই-মেইল অনুসারে, হোম অফিসের স্থায়ী সেক্রেটারিবৃন্দ- বিভাগের সবচেয়ে সিনিয়র সিভিল সার্ভেন্টগনকে এ সময়ে উদ্বেগের বিষয়টি অবহিত করা হয়।
লেবার পার্টির ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেন, ই-মেইলগুলোর থেকে প্রতীয়মান হয়, হোম অফিস জানতো যে, তারা আইন লংঘন করছে এবং পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তাদের নৈরাজকর ব্যর্থতা কীভাবে এই পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মিসেস ব্রেভারম্যানের নিয়ন্ত্রনাধীন হোম অফিস সিস্টেমের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন এবং করদাতাদের জন্য বড়ো অংকের খেসারত সৃষ্টি করেছে। অক্টোবরে প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, প্রায় ৪ হাজার লোককে ম্যানস্টনে তাবুতে আটক রাখা হয়েছে। এর ফলে অতিরিক্ত গাদাগাদি ও রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা দিয়েছে।