অ্যাম্বুলেন্সে বিলম্ব চরম আকার ধারণ করেছে ইংল্যান্ডে

অ্যাম্বুলেন্সের এক চতুর্থাংশ অর্থ্যাৎ ১৬ হাজারেরও বেশী অ্যাম্বুলেন্স এক্সিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সী বিভাগসমূহের (এঅ্যান্ডই) বাইরে এক ঘন্টারও বেশী অপেক্ষা করতে হয়েছে। এমনকি বুধবারের অ্যাম্বুলেন্সে ক্রুদের ধর্মঘটের আগেও এমনটি ঘটেছে।
এনএইচএস কর্মকর্তারা ক্রিসমাসের পূর্বে আরো অধিক সংখ্যক রোগীর ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। এছাড়া ধর্মঘটের দিনগুলোতে যারা মেডিকেল সহায়তা চাননি বিশেষভাবে তাদের ব্যাপারে বিশেষ উদ্বেগ বিদ্যমান। বুধবারের ধর্মঘটের সময় হাসপাতালগুলো সাধারন অবস্থার চেয়েও অধিক শান্ত ছিলো। তবে এনএইচএস নেতৃবৃন্দ বলেছেন যে, ধর্মঘটের দিনগুলোতে সহায়তা অনুসন্ধান এড়ানোর পর ব্যাপক হারে চিকিৎসামুখী লোকজনের পুনরায় সৃষ্ট পরিস্থিতির ব্যাপারে তারা উদ্বিগ্ন।
ডিপার্টমেন্ট ফর হেলথ এন্ড সোশ্যাল কেয়ার বলেছে, এই শীতকালে তাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার হচ্ছে রোগীদের নিরাপদ রাখা এবং তারা যেনো প্রয়োজনে সেবা পেতে পারে, এটা নিশ্চিত করা। হাজার হাজার প্যারামেডিক্স, কল হ্যান্ডলার এবং টেকনিশিয়ানরা ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে গত বুধবার ধর্মঘটে যান এবং ২৮ ডিসেম্বর আবার ধর্মঘটে যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন।
এনএইচএস ইংল্যান্ড- এর ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহের উপাত্ত থেকে দেখা যায়, হাসপাতালের শয্যায় অ্যাম্বুলেন্সবাহিত রোগীদের স্থানান্তরে বিলম্ব অতীতের যে কোন শীতকালের তুলনায় এ মাসে বেশী হয়েছে। ইংল্যান্ডে একটি অ্যাম্বুলন্স থেকে হাসপাতালের স্টাফের নিকট রোগীদের হস্তান্তরের টার্গেট বা লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ মিনিট। কিন্তু এসময় এএন্ডই – তে আসার পর প্রতি ১০টির মধ্যে ৪টি অ্যাম্বুলেন্স থেকে রোগী হস্তান্তরে কমপক্ষে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিলো ১০ টির মধ্যে ৩টি। এছাড়া এক চতুর্থাংশকে এক ঘন্টারও বেশী অপেক্ষা করতে হয়েছে, যার ফলে রোগী হস্তান্তরে ৪৬ হাজার ঘন্টা নষ্ট হয়েছে।
এসব পরিসংখ্যানে নতুন আসা রোগীদের শয্যা প্রদানে হাসপাতালগুলোর বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার বিষয়টির প্রতিফলন ঘটেছে। এদিকে হাসপাতালগুলোতে হাজার হাজার শয্যা দখল করে আছেন রোগীরা যারা ডিসচার্জ বা রিলিজ হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। আর প্রতি সপ্তাহে এদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button