প্রতি ১০ জনে ৪ জন জুনিয়র চিকিৎসকের এনএইচএস ত্যাগের পরিকল্পনা
ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে ৪ জন জুনিয়র চিকিৎসক যথাশীঘ্র এনএইচএস ত্যাগের সক্রিয় পরিকল্পনা করছেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, মূলত: স্বল্প বেতন ও নিম্নমানের কাজের পরিবেশের কারনে জুনিয়র চিকিৎসকরা এমন পরিকল্পনা করছেন।
এনএইচএস ত্যাগে আগ্রহীদের এক তৃতীয়াংশের আগামী ১২ মাসে বিদেশে পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের প্রথম পছন্দের দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে অস্টেলিয়া। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিলিপ ব্যানফিল্ড এই মর্মে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, আগামী বছর যদি জুনিয়র চিকিৎসকরা এভাবে ব্যাপক হারে সার্ভিস ত্যাগ করেন, তবে এনএইচএস পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে সক্ষম হবে না।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ জানুয়ারী ধর্মঘটের ব্যাপারে জুনিয়র চিকিৎসকদের ভোটাভুটির আগেভাগেই মিঃ ব্যানফিল্ড এই হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেছেন। এসব চিকিৎসক গত ১৫ বছরের মধ্যে মজুরী কর্তনের শিকার হয়েছেন, যা সরকারী খাতের শ্রমিকদের মধ্যে সবচেয়ে গভীর। এটা ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত সময়ে এক চতুর্থাংশেরও বেশী। ব্যানফিল্ড আরো বলেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ। জুনিয়র চিকিৎসকদের এক তৃতীয়াংশ ভিন্ন দেশে কাজের পরিকল্পনা করছেন।
১০ জনের মধ্যে একজন বলেছেন, অন্য কোন চাকুরী পেলেই তারা এনএইচএস ত্যাগ করবে। তিনি বলেন, বিগত কয়েক যুগ যাবৎ এনএইচএস ছিলো বিশ্বের কাছে ঈর্ষনীয় প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমাদের চিকিৎসকদের দক্ষতার অভাবে আমাদের দেশ আরো রুগ্ন হয়ে পড়বে। আমরা আমাদের জাতির জন্য দুর্বল মানের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহন করবো না কিংবা যারা মজুরী কর্তন করতে চায় ও এনএইচএস স্টাফদের জীবনমান নীচে নামাতে চায়, তাদের স্বীকার করবো না। ২০২৩ সালে আমরা রোগীদের সাথে একতাবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবো, একটি সংগঠিত কর্মশক্তি কাজ করতে প্রস্তুত।
এনএইচএস আগামী বছরের শুরুতে পাবলিক সার্ভিস ইউনিয়ন ‘ইউনিসন’ এবং ‘রয়াল কলেজ নার্সি’ এর ধর্মঘটের সম্মুখীন হবে। সরকারী বেতন ও এটা উন্নতকরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের প্রতিবাদে এই ধর্মঘট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।