অভাবের সুনামী
ফুড ব্যাংকগুলো প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে
ফুড ব্যাংকের ম্যানেজাররা ঋষি সুনাকের সরকারকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সংকটের ফলে চাহিদা বৃদ্ধির তুলনায় দানের পরিমান হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষুধার্ত পরিবারগুলো ‘অভাবের সুনামী’তে ভেসে যেতে পারে।
ভলান্টিয়ারগন অথ্যার্ৎ স্বেচ্ছাসেবীরা বলেছেন, তারা নিঃশ্বেষিত এবং নতুন বছরের কথা ভেবে ভীত,শংকিত। একদিকে চাহিদা বৃদ্ধি এবং অপরদিকে অভাবী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে ৫৫০ টি গ্রুপের নেটওয়ার্ক ইন্ডিপেনডেন্ট ফুড এইড নেটওয়ার্ক (ইফান) কতৃর্ক পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৯১ শতাংশ ফুড ব্যাংকে গত বছরের তুলনায় অধিক চাহিদা বিদ্যমান। এছাড়া ৬৯ শতাংশ ফুড ব্যাংকে খাদ্য ও নগদ অর্থ দানের ক্ষেত্রে পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রায় অর্ধেক অথ্যার্ৎ ৪৬ শতাংশ ফুড ব্যাংকের ২০২৩ সালে লোকজনকে সাহায্য করার ক্ষমতা আছে কি— না, এ ব্যাপারে তারা উদ্বিগ্ন।
ফুড ব্যাংক প্রধানদের বক্তব্য অনুসারে, জ্বালানী ব্যয়বৃদ্ধি, উচ্চ খাদ্যমূল্য এবং মজুরী হ্রাস মূল্যস্ফীতির কারন, এর অর্থ হচ্ছে নভেম্বরের জীবনযাত্রার সহায়তায় প্রদত্ত অর্থ চাহিদা বৃদ্ধিতে সামান্যই রেহাই দিয়েছে।
হিয়ারফুডশায়ারের লিওমিনস্টার ফুড ব্যাংক পরিচালনাকারী ক্যাথি ব্ল্যান্ড বলেন, চলতি বছর তারা যে সংখ্যক পার্সেল প্রদান করেছেন, তা ২০২১ সালের দ্বিগুণ। ক্যাথি আরো বলেন, এই শীতে একটি নতুন ‘অভাবের সুনামী’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যখন অধিক সংখ্যক বয়স্ক লোকজনকে আগের চেয়ে বেশী জ্বালানী বিল ও সুপার মার্কেটের খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘লোকজন ঠান্ডা পীড়িত, ক্ষুধার্ত এবং মরিয়া হয়ে যাচ্ছে। আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা ঐ লেভেলের সেবা অব্যাহত রাখতে পারছে না এবং আমরা মনে করি না যে, সংকটের পুরোপুরিটা আমরা এখনো দেখতে পেয়েছি। স্বেচ্ছাসেবীরা নিঃশ্বেষিতএবং যদি সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে, তবে আমরা কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে পারবো কি—না, এ নিয়ে শংকিত।