যুক্তরাজ্যে ৯০ শতাংশ হ্যান্ড কার ওয়াশ অবৈধভাবে কর্মী নিয়োগ করছে
যুক্তরাজ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশী হাতে কার ধৌতকরনের কাজে কর্মীদের অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়। তাদেরকে উপযুক্ত মজুরী যেমন দেয়া হয় না, তেমনি দেয়া হয় না প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা। তাদের কোন রেকর্ডও সংরক্ষন করা হয় না। এই খাতে অপব্যবহার মোকাবেলায় একটি স্বেচ্ছাসেবী স্কীম গ্রহনের তিন বছর পর এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
লেইসেস্টার, সাফোক ও নরফোকে পরিচালিত ঝটিকা অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মাত্র ৭ শতাংশ ক্ষেত্রে কাজ করার অধিকারের বিষয়টি পরীক্ষার ব্যবস্থা ও আইনী বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করা হয়েছে কিংবা এসব ক্ষেত্রে প্রমান করা যায় যে, নিয়োগের অধিকার সমুন্নত রাখা হয়েছে। অনুসন্ধান বা গবেষনাটি পরিচালিত হয় সরকারী সহায়তাপুষ্ট রেসপনসিবল কার ওয়াশ স্কীম (আরসিডব্লিউএস) ও হোম অফিসের আধুনিক দাসত্ব প্রতিরোধ তহবিল এবং নটিংহ্যাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে। এই গবেষনায় দেখা গেছে, মাত্র ৬ শতাংশ ক্ষেত্রে কর্মীদের সাথে কার ওয়াশসমূহের হাতে লেখা চুক্তি রয়েছে এবং ১১ শতাংশ ক্ষেত্রে পে-স্লিপ হাতে প্রদান করা হয়, যাতে প্রমান করা যায় যে, তারা আইনানুগ সর্বনিম্ন মজুরী, হলিডে কিংবা অসুস্থতা মজুরী পরিশোধ করছে। এছাড়া দেখা গেছে, অর্ধেকেরও কম অর্থ্যাৎ ৪১ শতাংশ ছিলো নিবন্ধিত কোম্পানী, তবে অধিকাংশই কর কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধিত নয়।
সমীক্ষা পরিচালিত হয়েছে এমন ৩৬ টি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানকে পরিদর্শনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়নি এবং এধরনের বেআইনী ব্যবসার হোতাদের শনাক্তকরনে আংশিকভাবে একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, যা নটিংহ্যাম টেন্ট টিম ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ কর্তৃক উদ্ভাবিত। আরসিডব্লিউএস- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তেরেসা সেয়ার্স বলেন, তিনি গত কয়েক বছরে দেড় শতাধিক কারওয়াশ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন এবং তাদের সমীক্ষায় গোটা যুক্তরাজ্যের চিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি বলেন, এটা মহামারীর মতোই ব্যাপক। অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এমনকি আমি এমন অনেক কারওয়াশ দেখেছি, যাদের পরিচালনাকারীরা অত্যন্ত বেপরোয়া এবং তারা নিশ্চিত যে,তাদের এহেন অবৈধ কর্মকে কখনো চ্যালেঞ্জ করা হবে না। সেয়ার্স বলেন, যুক্তরাজ্যেব্যাপী প্রায় ৫ হাজার হাতে পরিচালিত কারওয়াশের অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি অংশ, যারা কমপক্ষে ১৫ হাজার শ্রমিক-কর্মীকে নিয়োগ করেছে এবং ভলান্টারী গুড় প্র্যাকটিস স্কীমে স্বাক্ষর করেছে।