যুক্তরাজ্যে মামলাজট বাড়ছে: ভিকটিমদের ভোগান্তি, অপরাধীদের পোয়াবারো
পাবলিক প্রসিকিউশন্স- এর পরিচালক এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থা ভারাক্রান্ত এবং ব্যারিস্টার স্বল্পতার দরুন দীর্ঘ বিলম্বে মামলার ভিকটিম ও বিবাদীদের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস)- এর প্রধান ম্যাক্স হিল কেসি বলেন, কর্মকর্তারা কিছু শুনানীর জন্য তাদের উপস্থাপনের লক্ষ্যে কাউকে খুঁজে পেতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ব্যারিস্টারদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন।
তিনি এই মর্মে হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন যে, কিছু ভিকটিম মামলাসমূহ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছেন, কারন তারা এমন একটি প্রক্রিয়ায় থাকতে অক্ষম, যাতে মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর লেগে যায়। বিচারের জন্য অপেক্ষার সময় দ্রুতগতিতে ফুরিয়ে গেলে এমনটি ঘটে। তিনি বলেন, এটা তাদের দোষ নয়। এটা সত্য যে, অত্যাধিক মামলার ফলে বিলম্ব ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ঘাটতির কারনে যে সময়ে আমরা মামলাসমূহের মূল্যায়ন তদন্ত, অত:পর বিচারের কাজ করতে চাই, তার চেয়ে অনেক বেশী লাগছে প্রায়ই। বর্তমানে একটি অপরাধ সংঘটন এবং রাজকীয় আদালতে আইনী প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার মধ্যেকার সময় গড়ে এক বছরেরও বেশী। তবে ধর্ষণ মামলা শেষ হতে রেকর্ড আড়াই বছরেরও বেশী লেগে যায়।
বিচার বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী স্টিভ রীড বলেন, রক্ষনশীলদের ১২ বছরের ব্যর্থতার পর, ফৌজদারী বিচার পদ্ধতি খোঁড়াচ্ছে এবং আমাদের কমিউনিটিসমূহ কম নিরাপদ। তিনি আরো বলেন, জটিল ও পুরোনো অব্যবস্থাপনার ফলে আমাদের উচ্চ আদালতগুলোকে ব্যকলগ বা মামলা জট সৃষ্টি হয়েছে এবং সিপিএস স্টাফদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। আর ভিকটিমরা বিচারের জন্য অপেক্ষা করছেন বছরের পর বছর ধরে। অপরদিকে অপরাধীরা রেহাই পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ক্রাউন আদালত ও ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টসমূহে প্রায় ৬০ হাজার মামলা অনিষ্পত্তিকৃত অবস্থায় রয়েছে। এগুলোর বিচারের শিডিউল দেয়া হচ্ছে ২০২৪ সালে। এগুলোর বিচারকার্য শুরু হতে না হতেই আরো বহু মামলা এ সংখ্যাকে আরো অনেক বৃদ্ধি করবে, এমন আশংকা সংশ্লিষ্ট সকলের। ব্যারিস্টারদের স্বল্পতা মামলা নিষ্পত্তিতে এধরনের অস্বাভাবিক বিলম্বের অন্যতম কারন বলে জানা গেছে।