ব্রিটেনে ইমার্জেন্সী সেবা সংকট চরমে
যুক্তরাজ্যে হাসপাতালসমূহের জরুরী সেবায় এ যাবৎকালের সবচেয়ে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তারা একসিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সী রোগীদের প্রসূতি ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে রাখতে বাধ্য হচ্ছে। বাধ্য হচ্ছে শত শত ক্যান্সার রোগীর অপারেশন বাতিল করতে।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট কর্তৃক পরিচালিত এক অনুসন্ধানে স্বাস্থ্যসেবার সকল ক্ষেত্রে এনএইচএস সংকটের আশংকাজনক বিস্তারের বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের নতুন পরিসংখ্যানে গত ডিসেম্বরে ৫৪ হাজার ৫৩২ জন রোগীকে এএন্ডই’তে ভর্তির জন্য ১২ ঘন্টা অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এটা বিলম্বেরক্ষেত্রে .১ শতাংশ মাসিক বৃদ্ধি। অ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষার সময় স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে গড়ে ৯০ মিনিটে পৌঁছে। কার্ডিফের এএন্ডএইচ এর জনৈক রোগী পরিস্থিতিকে হত্যাযজ্ঞের সাথে তুলনা করেন। তিনি জানান রোগীরা শয্যা না পেয়ে অক্সিজেন ট্যাংক নিয়ে মেঝেতে এবং হলওয়েগুলোতে লাইন ধরে পড়েছিলো। এছাড়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট ৮২ বছরের জনৈক জটিল কিডনী রোগীকে ভর্তির জন্য করিডোরে একটি ট্রলীতে ৫৬ ঘন্টা অপেক্ষা করতে দেখে। ৮৯ বছর বয়সী অপর একজন ক্যান্সার রোগীকে এএন্ডই প্যাশেন্ট কার পার্ক হিসেবে পরিচিত একটি করিডোরে ঘুমানো অবস্থায় দেখতে পায়। এই রোগীকে একটি স্ক্যানের জন্য ৪৬ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। একটি প্রধান হাসপাতালের জনৈক কনসালট্যান্ট বলেন, তারা ডান বাম ও সেন্টারে অপারেশন বাতিল করছেন এবং ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট সম্পূর্ণ ভর্তি।
চিকিৎসকদের ইউনিয়ন ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এর ডাঃ সাইমন ওয়ালশ বলেন, স্বাস্থ্যসেবা এখন নজিরবিহীন পরিস্থিতির মুখোমুখি, যেখঅনে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে ক্ষয়ক্ষতি সংঘটিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমার অভিজ্ঞতার চেয়েও পরিস্থিতি বেশী শোচনীয়। আমরা আসলে কখনো ভাবিনি যে, কোন সরকার বর্তমান অবস্থার মতো এতো খারাপ পরিস্থিতি হতে দেবে। উল্লেখ্য, গত মাসে ২২ লাখ রোগী এএন্ডই-তে সহায়তার জন্য আসে। কিন্তু মাত্র এর অর্ধেককে লক্ষ্যমাত্রার ৪ ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এ সপ্তাহের প্রথম দিকে, আমরা দেখতে পাই ১২ ঘন্টারও বেশী অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।