‘যুক্তরাজ্যে অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হচ্ছে’
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির প্রত্যাশার চেয়েও বেশী উন্নতী হচ্ছে। জ্বালানীর বড়ো ধরনের মূল্যহ্রাস এবং পূর্বাভাস অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি কমে আসায় এ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে দীর্ঘমেয়াদী মন্দার পূর্বাভাসের মধ্যে পন্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতির ফলে কোটি কোটি মানুষকে অত্যন্ত কঠিন আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। কিছু নতুন সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হওয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুখবর পাওয়া যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এতে গৃহস্থালীর বাজেটে অব্যাহত সংকোচন থেকে অনেকখানি রেহাই মিলতে পারে।
লক্ষনীয় যে, গত আগষ্টে জ্বালানীর মূল্য ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পায়, যদিও এর মূল্য এখনো উচ্চ। এর সঙ্গে বছরব্যাপী গ্যাসের দামের দরপতন পরিলক্ষিত হয়। প্রিন্সিপালিটি বিল্ডিং সোসাইটি-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুলি-অ্যান হেইনেস বলেন, আশার কারন হচ্ছে হাউজিং মন্দা আর বাড়েনি এবং একটি জোরালো কর্মসংস্থানের বাজার। তিনি আরো বলেন, আমরা আমার ব্যবসাজুড়ে কিংবা আসলেই এই খাতে অন্যান্যদের ক্ষেত্রেও আর কোন মন্দা দেখিনি। আমরা গ্রাহকদের নিকট থেকে অধিক সংখ্যক কল পাচ্ছি যারা উদ্বিগ্ন এবং গ্যাস, জ্বালানী, পেট্রোল ও খাদ্যের মারাত্মক মূল্যবৃদ্ধিতে যে তারা দুর্ভোগে পড়েছেন, তা বোধগম্য। তা সত্বেও আশার যথেষ্ট কারন আছে। আমাদের একটি অত্যন্ত শক্তিশালী চাকুরীর বাজার রয়েছে। তাই অতীতে যখনই মন্দা এসেছে, আমরা বড়ো ধরনের বেকারত্ব বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি অথচ আমরা তা দেখতে চাইনি। এবার তেমনি না থাকার বিষয়টি আশার সঞ্চার করছে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস্ -এর অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ক্রিস গাইলস্ বলেন, গ্লাস অর্ধেক পূর্ন, অর্ধেক খালি নয়। যেমনটি অর্থনীতির ক্ষেত্রে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যে, ভীত সন্ত্রস্ত্র হওয়ার মতো নয়, যেমনটি নভেম্বরে হয়েছিলো। মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা মূল্যস্ফীতি ঠিক ৬ শতাংশের নীচেই নেমে আসবে বছরের শেষে। আমাদের ইতোমধ্যে মূল্যের একটি বড়ো বৃদ্ধি দেখতে হয়েছে গ্যাস, খাদ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে। এটা ইতোমধ্যে হয়েছে। তাই পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়া উচিত নয় এবং এজন্য আমরা বছরের শেষে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারি। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমরা আগাম ইংগিত পাচ্ছি যে, দেশের অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধারের দিকে যাচ্ছে, যদিও এক্ষেত্রে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান।