পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পূর্বে মানসিক রোগীকে চিকিৎসা দেয়নি এনএইচএস
ইন্ডিপেন্ডেন্ট সূত্রে প্রকাশ, একটি এনএইচএস ট্রাস্ট পুলিশ হেফাজতে থাকা জনৈক অরক্ষিত কৃষ্ণাঙ্গ মানসিক রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসাসেবা প্রদানের অস্বীকৃতি জানানোর একদিন পর তার মৃত্যু হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী গডরিক ওসেই নামক ঐ ব্যক্তি তার ফ্লাট থেকে পালিয়ে গিয়ে ট্রুুরোর একটি কেয়ার হোমের আলমারির ভেতর লুকিয়ে পড়ে। পরে ২০২২ সালের ০৩ জুলাই সকাল বেলা ডেভন ও কর্নওয়ালে অর্ধ ডজনেরও বেশী পুলিশ অফিসার তাকে আটক করেন। তার পরিবার বলেছে, ওসেই বিভ্রান্তিকর কথাবার্ত বলেছিলেন এবং নিজে থেকেই সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়ে পুলিশকে ফোন করেন। তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং গ্রেফতারের আধঘন্টা পর তিনি মারা যান।
পরীক্ষায় ওসেইর উদ্বেগ ও বিষন্নতার উপসর্গ ধরা পড়েছিলো। তার পোস্ট ট্রোমাটিক স্ট্রেস ডিসর্ডার (পিটিএসডি) ছিলো বলে সন্দেহ করা হয়েছিলো এবং এর চিকিৎসায় নানা ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়েছিলো।
২০১৩ সালের দিকে ওসেই মাঝে মাঝে অবৈধ ওষুধও সেবন করতেন এবং কারাগারে কথিত যৌন হামলার শিকার হন। নর্থ ইস্ট লন্ডন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট- এর (এনইএলএফটি) এক মেডিকেল
রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ওসেইর মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তিনি এনইএলএফটি- এর কমিউনিটি মেন্টাল হেলথ টিমের কেয়ারে ছিলেন। এর কেইসওয়ার্কাররা এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন যে, তার মাঝে আরো মারাত্মক অসুস্থতার লক্ষন ছিলো। তার মাঝে ছিলো আবেগাত্মক অস্থির অবস্থা, যা তার জন্য উচ্চ ঝুঁকির মাত্রায় ছিলো।
যা-ই হোক, মিঃ ওসেইর মৃত্যুর পর এনইএলএফটি’র একজন তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে যৌথ তদন্তের জন্য সিপিটি’র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন কয়েকবার। কিন্তু তিনি কোন সাড়া পাননি তাদের নিকট থেকে।