‘যুক্তরাজ্যের গৃহস্থালীসমূহের জন্য আরো দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে’
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড- এর সাবেক চীফ ইকোনোমিস্ট অ্যান্ডি হলডেইন এই বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, গৃহস্থালীসমূহের জন্য অধিকতর দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে মর্গেজ রেইট বৃদ্ধি জনগনের ব্যাংক একাউন্টকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং ব্যয় সংকোচন সৃষ্টি করবে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক চীফ ইকোনোমিস্ট এবং বর্তমানে রয়াল সোসাইটি অব আর্টস- এর চীফ এক্সিকিউটিভ অ্যান্ডি হলডেইন আরো বলেন, তিনি ব্যাংক অব ইল্যান্ড ত্যাগের পর থেকে সুদ হার বৃদ্ধির ফলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তা বেদনাদায়ক। ব্যাংকের রেইট নির্ধারক মুদ্রা নীতি সংক্রান্ত কমিটির কার্যক্রমও দুঃখজনক। লক্ষনীয় যে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ২০২১ সাল থেকে তার প্রধান সুদের হার তীব্রভাবে বাড়িয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে ঐতিহাসিক স্বল্প হার ০.১ থেকে বাড়িয়ে ঐ বছরের ডিসেম্বরে তা করা হয় ৩.৫ শতাংশ। এসময় ব্রিটিশ গহস্থালীগুলো জ্বালানীর বড়ো ধরনের মূল্যবৃদ্ধির যাঁতাকলে পিষ্ট হয়। পিষ্ট হয় পন্য ও সেবার ব্যাপক ক্ষেত্রে বিপুল মূল্যস্ফীতির কারনে। হলডেইন বলেন, এটা বেদনাদায়ক ও ভীতিকর যে, গত বছর থেকে বৃদ্ধি পাওয়া ঐসব মর্গেজ রেইট জনগনের ব্যাংক একাউন্টসমূহে আঘাত করতে শুরু করে বর্তমান বছর পর্যন্ত।
গত নভেম্বর ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলেছে, যুক্তরাজ্য গত এক শতাব্দির মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ মন্দার ঝুঁকির মধ্যে প্রবেশ করেছে। যখন মূল্যস্ফীতি গৃহস্থালীগুলোকে ব্যয় কর্তনে বাধ্য করছে, জিডিপিকে পিছনে নিয়ে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতির ফলে প্রকৃত মজুরী ও বেতনের দিকে দৃষ্টি দিতে হয়, যা ২.৬ শতাংশ হ্রাস পায়। গত নভেম্বরের আগের ৩ মাসে প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশী হ্রাস পায়। ২০০১ সাল থেকে যা তুলনামূলকভাবে রেকর্ড পরিমান হ্রাস। সম্প্রতি ‘অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স’ এ তথ্য জানিয়েছে। হলডেইন স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মতো মৌলিক সেবাসমূহে বিনিয়োগের ঘাটতির সমালোচনা করেন, যেগুলোর প্রতি সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেয় যুক্তরাজ্য।