শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এনএইচএস’কে ৮ লাখ পাউন্ড জরিমানা
এনাম চৌধুরী: একটি শিশুর প্রতি যত্ন নিতে ব্যর্থ হওয়ায় একটি এনএইচএস হাসপাতালকে ৮ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে। নটিংহ্যাম ম্যাজিষ্টেটসেজ কোর্ট এই বড়ো অংকের জরিমানা করেছে। প্রসূতি সংক্রান্ত অভিযোগের ঘটনায় কোন এনএইচএস হাসপাতালকে এই জরিমানা সর্ববৃহৎ।
২০১৯ সালে কুইন্স মেডিকেল কলেজ সেন্টারে উইন্টার অ্যানড্রুজ নামক একটি শিশু জন্মের পর মারা যায়। অক্সিজেনের অভাবে এই শিশুর মৃত্যু হয়, যাকে কারন হিসেবে ডাক্তারি পরিভাষায় ‘হাইপোক্সিক ইসচিমিক এনসেফালোপ্যাথি’ থেকে মৃত্যু বলা হয়। আগেভাগে ডেলিভারী করানোর সাথে জড়িত হাসপাতালের স্টাফ যত্নবান হলে এই মৃত্যু হয়তো এড়ানো যেতো বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২০ সালে শিশু উইন্টারের মৃত্যুর ঘটনায় একটি তদন্ত পরিচালনা করা হয়। শিশুটির মা সারাহ অ্যানড্রুর জরায়ূর সংকোচন সমস্যা দেখা দেয়ার ৬ দিন পর ১৪ সেপ্টেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নটিংহ্যাম কোর্ট তার শুনানী গ্রহন করে। এছাড়া নটিংহ্যাম করোনার্স শুনানীকালে জানতে পারেন ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুর্বল অবস্থা নিয়ে শিশু উইন্টার জন্মগ্রহন করে। এসময় তার পা ও গলায় নাড়ি শক্তভাবে জড়ানো ছিলো। আর এই কর্ড বা নাড়ি ছাড়াতে অযথা ২৩ মিনিট বিলম্ব করা হয়। শিশুটি মায়ের বাহুতেই মারা যায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি থেকে তার মৃত্যু হয় বলে মৃত্যুর কারন হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এই মামলায় কোর্টে দোষ স্বীকার করেছে নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটি হসপিটালস্ (এনইউএইচ)। শিশু উইন্টারের পিতামাতা বলেছেন, এই জরিমানা ট্রাস্টের ব্যর্থতার গুরুতর দিকটিকেই ইংগিত করে। যখন মিসেস অ্যানড্রু হাসপাতালে আসেন, তখন বর্ণিত হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ ব্যস্ত ছিলো। শিফট বদলের সময় তাকে অন্য স্টাফদের কাছে যথাযথভাবে হস্তান্তর করা হয়নি। পরের দিন সকালে জনৈক ডাক্তার তাকে দেখেন। এসময় দাত্রীরা গর্ভস্থ শিশু উইন্টারের একটি একটি সম্ভাব্য সংক্রমন কিংবা ট্রেইস এক্সামিনেশন সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়টি উপস্থাপন করলেও ডাক্তার এ ব্যাপারে গুরুত্ব প্রদান করেননি। তদন্তে এসব ঘটনা প্রকাশ পায়।