ইংল্যান্ডে অনিরাপদ ভবন মেরামতের নির্দেশ
ইংল্যান্ডের হাউজিং ডেভেলপারদের এই মর্মে একটি আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে যে, তাদেরকে অনিরাপদ ভবনগুলো মেরামত করতে হবে কিংবা এগুলো মার্কেটে পরিচালনা নিষিদ্ধ করতে হবে। ডেভেলপারদের ৬ সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সাথে চুক্তি করতে হবে যে, গত ৩০ বছর থেকে তাদের অনিরাপদ ভবনগুলো মেরামত করবেন।
হাউজিং মিনিস্টার মাইকেল গোভ বলেন, যদি কোম্পানীগুলো এটা না মানেন, তবে তাদেরকে তাৎপর্যপূর্ন পরিনতির সম্মুখীন হতে হবে। ইতোমধ্যে অনেক বাড়িঘরের মালিককে বাধ্য করা হয়েছে ভবনের ক্ল্যাডিং বা বাহ্যিক আস্তরণ অপসারনে, যাকে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি মনে করা হয়। এতে তাদের হাজার হাজার পাউন্ড ব্যয় হয়েছে। লক্ষনীয় যে, ২০১৭ সালে গ্রেনফেলের মর্মান্তিক অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর এধরনের বিপদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই অগ্নিকান্ডে ৭২ জনের প্রানহানি ঘটে। এ ব্যাপারে এক তদন্তে দেখা যায় যে, পশ্চিম লন্ডনের এই টাওয়ার ব্লকে ক্ল্যাডিং করা হয়েছিলো, যা আগুন ছড়াতে সাহায্য করে। কারন এটা দাহ্য সামগ্রী থেকে তৈরী।
সরকারের নতুন পরিকল্পনা অনুসারে, যেসব বাড়ির মালিক তাদের বসবাসের বাড়ি সম্ভাব্য অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে বলে প্রতীয়মান হবে, তাদেরকে পুনঃঅর্থপ্রদান করা হবে এবং বিল্ডিং কোম্পানীগুলোকে তাদের ভবন থেকে অনিরাপদ ক্ল্যাডিং অপসারন করতে হবে, যদি তাদের ভবনে তা থেকে থাকে।
মিঃ গোভ আরো বলেন, অনেক ডেভেলাপার এর সাথে পন্য উৎপাদক ও ফ্রিহোল্ডার এসব অনিরাপদ ভবন থেকে লাভবান হয়েছেন এবং এখন তাদের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে সঠিক কাজটি করা এবং এগুলোর মেরামতে অর্থ পরিশোধ করা।
আবাসিক সম্পত্তি সংক্রান্ত পরামর্শক ‘রিংগলি গ্রুপ’- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেরি-অ্যান বাউরিং ডেভেলাপমেন্টসমূহ কর্তৃক এধরনের ব্যয় বহনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, এ সমস্যার জন্য সরকার আংশিক দায়ী। তিনি বলেন, এক ব্যক্তির খারাপ কাজের জন্য গোটা ইন্ডাষ্ট্রিকে অর্থ পরিশোধে বাধ্য করা উচিত নয়। তবে মিসেস বাউরিং বলেন যে, তিনি বন্দোবস্তগ্রহীতাদের ব্যাপারে স্বস্তি বোধ করছেন, যারা বছরের পর বছর ধরে গ্যাঁড়াকলে আটকা পড়ে আছেন এবং গ্রেনফেল টাওয়ার ট্রাজেডির পর তাদের বাড়িঘরের নিরাপত্তায় সহায়তার জন্য অপেক্ষায় আছেন।