আইএমএফ’র পূর্বাভাস
যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি রাশিয়ার চেয়েও খারাপ হবে
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এই মর্মে পূর্বাভাস প্রদান করেছে যে, ব্রিটেনের অর্থনীতি জি-সেভেন দেশসমূহের অর্থনীতির চেয়ে খারাপ অবস্থায় পতিত হবে। এমনকি তার অর্থনৈতিক অবস্থা আগামী বছর রাশিয়ার চেয়েও খারাপ হবে। গত বছর অক্টোবর মাসে আইএমএফ এক পূর্বাভাসে বলে যে, দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ০.৩ শতাংশ হ্রাস পাবে। কিন্তু সংস্থাটি তার নতুন পূর্বাভাসে ০.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে জানিয়েছে।
আগামী বছর ব্রিটেনের এই শোচনীয় চিত্র জি-সেভেন দেশসমূহের মধ্যে সবচেয়ে পেছনে থাকবে এবং একমাত্র এই দেশে বছরব্যাপী জিডিপি’র পতন হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আইএমএফ’র পূর্বাভাস অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি জার্মানীরও পেছনে পড়ে থাকবে, এমনকি নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়ার চেয়েও পেছনে থাকবে। আইএমএফ এই দু’টি দেশে এবছরে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হবে বলে প্রত্যাশা করছে। লক্ষনীয় যে, যুক্তরাজ্যের মন্দার আশংকার কারনসমূহের মধ্যে রয়েছে মজুরী নিয়ে সরকারী খাতে ধর্মঘট এবং ১০ শতাংশের বেশী মূল্যস্ফীতি, যা জীবনযাত্রার সংকট বৃদ্ধি করেছে।
সি-সেভেন দেশসমূহের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি হবে ১.৪ শতাংশ, জার্মানীতে ০.১ শতাংশ, ফ্রান্সে ০.৭ শতাংশ, ইতালীতে ০.৬ শতাংশ, জাপানে ১.৮ শতাংশ এবং কানাডায় ১.৫ শতাংশ হবে বলে আইএমএফ পূর্বাভাস প্রদান করেছে।
আইএমএফ বলেছে, ব্রিটেনের পূর্বাভাসকৃত জিডিপি পতনের কারন হবে মুদ্রানীতি, আর্থিক পরিস্থিতি এবং জ্বালানীর উচ্চ খুচরো মূল্য, যা গৃহস্থালীগুলোকে যাঁতাকলে পিষ্ট করছে।
অপরদিকে ব্রিটিশ চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট গত সপ্তাহে প্রদত্ত তার প্রথম ধরনের বক্তব্যে ঘোষনা করেন যে, ব্রিটেনের ব্যাপারে ‘পতনবাদ’ অতীতেও ভুল ছিলো এবং বর্তমানেও তা ভুল।
আইএমএফ’র পরিসংখ্যানের বিষয়ে তিনি বলেন, লেবার পার্টির ছায়া চ্যান্সেলর র্যাচেল রীভস্ এমপি জানিয়েছেন যে, অনেক লক্ষন আছে যে ব্রিটেন তার সঙ্গী দেশসমূহের পেছনে পড়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সরকারের উচিত আমাদের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করা ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। যখন একটার পর একটা সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছেম তখন সংকট থেকে উত্তরনের এটাই একমাত্র পথ।