যুক্তরাজ্যে বাড়ির মূল্য ২০ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে

ব্রিটেনের বাড়ি ক্রয়-বিক্রয় এজেন্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করলেও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার বৃদ্ধি এই দুর্বল মার্কেটকে আরো বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে, এমন আশংকা সংশ্লিষ্টদের। বাড়ির এই খাতের জন্য কঠিন সময় এখন, যা বছরের পর বছর ধরে গ্রাভিটিকে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে বলে উল্লেখ করে হ্যালিফ্যাক্স ব্যাংক বলেছে, যখন মর্গেজ অনুমোদনের হার মহামারিপূর্ব সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ নীচে এবং সম্পত্তির মূল্য গত আগষ্টের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি থেকে ৪.৩ শতাংশ নীচে অবস্থান করছে, তখন থ্রেডনিডল স্ট্রিটের মুদ্রানীতি কমিটির ১০ম বৈঠকের তর্ক-বিতর্কে অফিশিয়েল ঋন ব্যয় বৃদ্ধি আলামত দেখা যাচ্ছে। এই হ্রাসসমূহ অনিবার্যভাবে আরো বৃদ্ধি পাবে কারন ঋন গ্রহীতাদের ক্রমবর্ধমান উচ্চ সুদ হারের যুগের সাথে খাপ খাওয়াতে যাবে। বিশ্লেষকরা এই মর্মে একমত যে, ২০২৩ সালে বাড়ির মূল্য আরো হ্রাস পাবে। মূল্যস্ফীতি ধর্তব্যের মধ্যে নিলে বাড়ির দাম ২৫ শতাংশেরও বেশী পতনের পূর্বাভাস দিচ্ছেন কেউ কেউ।
বাড়ির মূল্যহ্রাসের অন্যতম দু’টি কারন হচ্ছে, ২০২১ সাল থেকে অফিশিয়াল সুদের হারের স্থির বৃদ্ধি এবং লিজ ট্রাসের সংক্ষিপ্ত প্রধানমন্ত্রীত্ব, যা মর্গেজের হারকে প্রায় ৬ শতাংশে উন্নীত করে। ক্যাপিটাল ইকোনোমিক্স- এর জনৈক সম্পত্তি সংক্রান্ত অর্থনীতিবিদ এনড্রু উইশার্ট বলেন, উদ্ধৃত গড় মর্গেজ রেইট ২০২১ সালের শেষভাগের ১.৪ শতাংশ থেকে গত বছরের নভেম্বরে সর্বোচ্চ ৫.৭ শতাংশে বৃদ্ধি পায়। অথচ ২ শতাংশ মর্গেজ রেইট থাকাকালে বাড়ির দাম তৎকালে ক্রয়সাধ্য ছিলো। মর্গেজ রেইট ৫ শতাংশ, ৪ শতাংশ কিংবা এমনকি ৩ শতাংশ থাকাকালেও তা ছিলো না।
উইশার্ট আরো বলেন, উচ্চতর মর্গেজ রেইটের অর্থ হচ্ছে, ক্রেতারা ঋণ গ্রহনে কম সক্ষম ও কম ইচ্ছুক হবেন। কারন এজন্য তাদের বাজেট হ্রাস করতে হবে। বাড়ির দাম কমাতে সচেষ্ট হতে হবে তাদের। নমুরা’র একজন ইউকে ইকোনোমিস্ট জর্জ বাকলি বলেন, বাড়ি অর্থ্যাৎ সম্পত্তির মূল্যের পতন আবশ্যক, কারন সার্ভিস হোম ঋনকে অধিকতর ব্যয়বহুল করে তুলেছে ক্রমবর্ধমান সুদের হার।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button