৩.৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড-এর সুদ হার বৃদ্ধি আরেকটি বড়ো আঘাত
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড দশমবারের মতো সুদের হার বৃদ্ধি করেছে, যা মর্গেজ ঋন গ্রহীতাদের ওপর চাপ বৃদ্ধি করেছে। ব্যাংকটির ‘মনিটারি পলিসি কমিটি’ (এমপিসি) সুদের বেইজ রেইট ৩.৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে বৃদ্ধি করেছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিট থেকে নীচে নামিয়ে আনা।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বলেছে, যুক্তরাজ্য এখনো মন্দামুখী অবস্থায় আছে। তবে অর্থনৈতিক নিম্নগামিতার চাপ পূর্বের প্রত্যাশিত চাপের চেয়ে কম গভীর ও কর্ম দীর্ঘ হতে পারে।
পীক-টু-ট্রাফ সামগ্রিক অভ্যন্তরীন উৎপাদন (জিডিপি) ১ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে অর্থ্যাৎ আগের পূর্বাভাসকৃত প্রায় ৩ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১ শতাংশ হতে পারে। এর কারন নভেম্বরে এমপিসি কর্তৃক প্রদত্ত গত পূর্বাভাস থেকে জ্বালানীর পাইকারী মূল্য তাৎপর্যপূর্নভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি গত বছরের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি থেকে নীচে নেমে এসেছে। যুক্তরাজ্যকে ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে শুরু হয়ে উপর্যুপরি ৫ প্রান্তিকের একটি মন্দা মোকাবেলা করতে হবে। তবে এই পতন ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের মতো পূর্ববর্তী মন্দাগুলোর তুলনায় অনেক বেশী হালকা বা নমনীয় হবে। সাধারনত কমপক্ষে উপর্যুপরি ২টি প্রান্তিকে আয় হ্রাসকে মন্দা বলে ধরে নেয়া হয়।
বেইলী’র মতে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি নেমে আসবে ৪ শতাংশে। তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড- এর গভর্নর এই বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত ব্যাংকের উদ্বেগ শুধুমাত্র জ্বালানীর সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। তিনি বলেন, অন্যান্য মূল্যস্ফীতির চাপসমূহ প্রত্যাশার চেয়ে বেশী সমস্যা সৃষ্টি করছে। তার মতে, শ্রম বাজার আঁটোসাটো থাকবে এবং প্রাইভেট সেক্টরে সাইট পে বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাবার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য মোড় ঘোরানোর মতো অবস্থায় বলে প্রতীয়মান। জ্বালানীর মূল্য নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। পাইকারী গ্যাসের মূল্য প্রায় ৫০ শতাংশ পেয়েছে।
গ্রাভিটা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যারোলিন প্লাম্ব বলেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কর্তৃক সুদের হার আরো ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর আরেকটি বড়ো আঘাত।