ব্রেক্সিটের খেসারত পরিবার প্রতি ১ হাজার পাউন্ড
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড – এর জনৈক নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা এই বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, ব্রেক্সিট অর্থ্যাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার ফলে দেশটির ব্যবসায় বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে যুক্তরাজ্যের প্রতিটি গৃহস্থালীকে গড়ে প্রায় ১ হাজার পাউন্ড খেসারত দিতে হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির (এমপিসি) জনৈক এক্সটার্নাল মেম্বার জনাথন হ্যাস্কেল বলেন, ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্তের ফলে বিনিয়োগ তার গতিপথে থেমে যায়। তিনি আরো বলেন যে, ব্যাংক হিসেব করেছিলো ব্রেক্সিটের ফলে ব্যবসায় বিনিয়োগ জিডিপি’র প্রায় ১.৩ শতাংশ হ্রাস পাবে, যা প্রায় ২৯ বিলিয়ন পাউন্ড।
বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, আমরা অনেক বেশী দুর্ভোগের শিকার হয়েছি বৃহত্তর আর্থিক খাতে। তবে আমি মনে করি আমরা ব্রেক্সিট পূর্ব অবস্থায় ফিরে যাবো। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আমরা বিশাল বিনিয়োগ দেখেছি। কিন্তু ঠিক ২০১৬ সালের পর তা হ্রাস পেয়েছে। জি-সেভেন দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নীচে এসে পড়েছি আমরা।
ব্রেক্সিট থেকে প্রাপ্ত উৎপাদনে খেসারত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিডিপি’র ১.৩ শতাংশ হচ্ছে প্রায় ২৯ বিলিয়ন পাউন্ড কিংবা গৃহস্থালী প্রতি প্রায় ১ হাজার পাউন্ড। মিঃ হ্যাসকেল আরো সতর্ক করে বলেন, শ্রম বাজারে উচ্চ মাত্রার নিষ্ক্রিয়তা আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গীতে একটি বিশেষ ব্রিটিশ সমস্যা। এমন লোকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, যারা নিষ্ক্রিয়। শ্রম বাজারে সক্রিয় মানুষের সংখ্যার পতন ঘটেছে। এটা সম্পূর্ন ব্রিটিশ বিষয়। অন্যান্য দেশের চেয়ে এখানে নিষ্ক্রিয়তার আচরনকে অত্যন্ত ভিন্নভাবে দেখা হয়।
এতো কিছুর পরেও প্রধানমন্ত্রী মিঃ ঋষি সুনাকের বলেন, ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোটদানের জন্য আমি গর্বিত এবং এখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি এর সুবিধাদি প্রদান নিশ্চিত করতে আগ্রহী। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য ও ইইউ প্রোটোকল থেকে উদ্ভূত ব্যবসা ইস্যুসমূহে একটি সমাধানের দিকে যাচ্ছে বলে ভাবা হচ্ছিলো। তবে বিরোধ নিষ্পত্তিতে ইউরোপীয় বিচারকদের ভূমিকা গ্রহনযোগ্য হয়নি। কর্মকর্তারা চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে কোন ঘোষনা প্রত্যাশা করেন না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের চীফ ব্রেক্সিট আলোচনাকারী ঋষি সুনাকের সরকারের ব্রেক্সিটের সুবিধাদি সম্পূর্ণ ও উদ্দীপনার সাথে গ্রহনের আহ্বান জানান।