রেকর্ড সংখ্যক পরিবার ফুড ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে
ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফুড এইড নেটওয়ার্ক (ইফান) কর্তৃক পরিচালিত এক নতুন গবেষনায় দেখা গেছে, ব্রিটেনে আগের চেয়ে অনেক বেশী লোক এখন ফুড ব্যাংকগুলোর ওপর নির্ভর করছে। গবেষনায় দেখা গেছে, জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের মধ্যে পেনশনার, এনএইচএস স্টাফ ও শিক্ষকসহ বর্ধিত সংখ্যক গৃহস্থালী সদস্য এধরনের সহায়তা চাইছেন, যা ইতোপূর্বে কখনো দেখা যায়নি।
২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের জানুয়ারী মাসে প্রায় ৯০ শতাংশ ফুড ব্যাংকে চাহিদা বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায়। ৮৫ টি সংস্থার অর্ধেক ১৫৪ টি ফুড ব্যাংক পরিচালনা করছে। তারা জানিয়েছে, যদি চাহিদা আরো বাড়ে তবে তাদেরকে বাধ্য হয়ে সহায়তা কমিয়ে দিতে হবে কিংবা সাহায্য প্রার্থীদের ফিরিয়ে দিতে হবে।
যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ সরবরাহকারী ১৩ শ’য়ের বেশী ফুড ব্যাংক পরিচালনাকারী ট্রাসেল ট্রাস্ট এই শীত মওসুমকে অতীতের যে কোন সময়ে চেয়ে বেশী ব্যস্ত থাকার ধারনা করছে। গত নভেম্বরে তারা এই মর্মে সতর্কবানী উচ্চারন করে যে, ফুড ব্যাংকগুলো ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম। শুধুমাত্র গত বছর এপ্রিল ও সেপ্টেম্বরে তারা ১৩ লাখ জরুরী ফুড পার্সেল বিতরন করেছে, যা গত ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ বেশী এবং মহামারীপূর্ব সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশেরও বেশী।
গত সপ্তাহে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতিজনিত চাপ কমে আসা সত্বেও কীভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট এখনো মুখ ব্যাদান করে আছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৬.৭ শতাংশে রয়েছে এবং গ্যাসের দাম এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ১৩০ শতাংশ বেশী। গত নভেম্বরে ‘অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটি’ এই মর্মে পূর্বাভাস প্রদান করে যে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গৃহস্থালীগুলোর ডিসপোজেবল আয় ৪.৩ শতাংশ হ্রাস পাবে, যা ১৯৫৬ সালে তুলনামূলক রেকর্ড শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বড়ো পতন।
প্রকৃত অর্থেই মজুরী হ্রাস এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সরকারী খাতে সবচেয়ে ব্যাপক ধর্মঘটের কারন হয়েছে, যা বিগত দশকগুলোতে দেখা যায়নি। ধর্মঘটের বিষয়ে ৪৫ হাজারেরও বেশী জুনিয়র চিকিৎসক ভোটদান করে গত সোমবার, যার ফল দিনের শেষে প্রকাশিত হবে। স্বাধীন ফুড ব্যাংকগুলোর এক তৃতীয়াংশ বলেছে, বেনিফিট বন্ধ ও কর্তন এ অবস্থার জন্য বিশেষভাবে দায়ী।