এইচএসবিসি ব্যাংকের দ্বিগুণ মুনাফা লাভ
ফজলু মিয়া: সুদের হার বৃদ্ধির পর এইচএসবিসি ব্যাংকের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত চতুর্থ ত্রৈমাসিকের আয় দ্বিগুনেরও বেশী বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকটি তাদের প্রধান নির্বাহীর বোনাস বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া বিনিয়োগকারী পিং অ্যানের চাপের মুখে বৃহত্তর শেয়ার হোল্ডারদের অর্থের পরিমান বৃদ্ধির পরিকল্পনাও করছে। ঋনগ্রহীতাদের মর্গেজ ও ঋনের ব্যয় বৃদ্ধির ফলে এধরনের মুনাফা করেছে ব্যাংকটি।
লন্ডনে সদর দফতর নিয়ে পরিচালিত এই ঋনদাতা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে যে, তারা তাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিল কুইন্সের বোনাস ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে, যার পরিমান প্রায় ২.২ মিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে তা সামগ্রিক বেতন ছিলো ৫.৫ মিলিয়ন ডলার। অপরদিকে ২০২১ সালে তার বেতন ছিলো ৪.৯ মিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে শক্তিশালী তৎপরতার দরুন এইচএসবিসি তার শেয়ারহোল্ডারদের গত ৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বার্ষিক অর্থ প্রদানের পরিকল্পনা করছে, যা শেয়ারপ্রতি ৩২ সেন্ট।
এছাড়া নির্বাহীরা ব্যাংকটির কানাডীয় ব্যবসার বিক্রি সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিটি শেয়ারে ২১ সেন্ট ডিভিডেন্ড বা লাভ প্রদানের কথাও ভাবছে, যার মোট পরিমান দাঁড়াবে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার।
প্রকৃতপক্ষে এইচএসবিসি এশিয়ায় তার ব্যবসায় লাভের বেশীর ভাগ অর্জন করেছে। ২০২২ সালের শেষ তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটি করপূর্ব ৫.২ বিলিয়ন ডলার মুনাফা অর্জন করে, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুন অর্থ্যাৎ তখন মুনাফা ছিলো ২.৫ বিলিয়ন ডলার। এধরনের মুনাফার আংশিক কারন হচ্ছে নেট সুদ থেকে আয়ে জোরালো বৃদ্ধি।
ঋনদাতা প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যসহ প্রায় ৬২ টি দেশ ও অন্যান্য অঞ্চলে সুদের হার বৃদ্ধির ফলে লাভবান হয়েছে। এসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ইউক্রেইন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি হ্রাসের চেষ্টা করে ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধির মাধ্যমে। এ অবস্থায় ঋন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের ওপর ঋনের ব্যয় বৃদ্ধি করে।
এইচবিএসসি’র প্রধান নির্বাহী কুইন লিজ ট্রাসের বিপর্যয়কর মিনি বাজেটের পর আর্থিক বাজারে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার ও ঋনের ব্যয় হ্রাসে সহায়তার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন।