জ্বালানী ব্যয় মেটাতে গড় বেতনের ১০ শতাংশ চলে যাবে
টিইউসি কর্তৃক পরিচালিত এক গবেষনায় দেখা গেছে, আগামী এপ্রিল থেকে লোকজনের গড় আয়ের ১০ শতাংশ চলে যাবে জ্বালানী ব্যয় মেটাতে, যখন সরকারী সহায়তায় ভাটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। টিইউসি এই বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেছে যে, পাইকারী মূল্য হ্রাসের সুফল পাবে না গৃহস্থালীগুলো, অন্তত: জুলাই পর্যন্ত।
টিইউসি দেখতে পেয়েছে যে, গড় জ্বালানী ব্যয় মাসিক ২৫০ পাউন্ড বৃদ্ধি পাবে, যা এক বছর আগে শ্রমিকেরা যা পরিশোধ করতো এর দ্বিগুন। ইউনিয়ন অর্গ্যানাইজেশন বিল কমানোর জন্য একটি সরকারী জ্বালানী কোম্পানী প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে সরকারের প্রতি। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, স্বল্প আয়ের শ্রমিকরা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত।
আগামী এপ্রিলে প্রাইস বৃদ্ধি করা হলে একজন ফুলটাইম সর্বনিম্ন মজুরী প্রাপ্ত শ্রমিককে তার মাসিক বেতনের ১৬ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে হবে জ্বালানীর বিল পরিশোধে। এটা ২০২২ সালের মার্চের ব্যয়ের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশী।
সংস্থাটি বৃহৎ তেল ও গ্যাস কোম্পানীগুলোর ওপর বড়ো অংকের উইন্ডফল ট্যাক্স আরোপের জন্য এবং ব্রিটেনের জীবনযাত্রার দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটানোর জন্য সরকারের প্রতি উপর্যুপরি আহ্বান জানিয়েছে। তাদের মতে, জ্বালানীর বাজার একটি কালোবাজারে পরিনত হয়েছে, যেখান থেকে তেল ও গ্যাস প্রতিষ্ঠানগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড মুনাফা লুটছে, যখন পরিবারগুলো তাদের ঘরকে উষ্ণ রাখতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
টিইউসি’র মহাসচিব পল নোয়াক বলেন, সরকারকে অবশ্যই আগামী মাসের বাজেটে গৃহস্থালীর আসন্ন জ্বালানি বিল বৃদ্ধি বাতিল করতে হবে ব্রিটেন জুড়ে পরিবারগুলো আকাশচুম্বী বিলের যাঁতাকলে মারাত্নকভাবে পিষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, এর অর্থ হচ্ছে লোভী তেল ও গ্যাস সরবরাহকারীদের ওপর বড়ো ধরনের উইন্ডফল ট্যাক্স আরোপ করতে হবে। এর মানে হচ্ছে, অর্থনীতিব্যাপী মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে।
লেবার পার্টির ছায়া জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড বলেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঋষি সুনাক জ্বালানী প্রাইসক্যাপ অর্থ্যাৎ মূল্যসীমা ৩ হাজার পাউন্ডে বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছেন।