লন্ডনের শ্রমিকরা ৭.৩ বিলিয়ন পাউন্ডের ওভারটাইম কাজ বিনা মজুরীতে করেছেন
নোমান আহমদ: ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস (টিইউসি) ভিত্তিক ওএনএস ডাটা বিশ্লেষনে জানা গেছে, লন্ডনের বাসিন্দারা গত বছর ৭.৩ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের অপরিশোধিত ওভারটাইম কাজ করেছেন, যা যুক্তরাজ্যের অন্য যে কোন অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশী। গবেষনায় দেখা গেছে, ঐ বছর লন্ডনের শ্রমিকদের ১৬.৭ শতাংশ এমন পারিশ্রমিকবিহীন ওভার টাইম কাজ করেন। এসব শ্রমিক-কর্মচারী প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৮.৪ অতিরিক্ত ঘন্টা কাজ করেন, যুক্তরাজ্যে এটা সর্বোচ্চ। এতে প্রতি কর্মচারী গড়ে ১০ হাজার ৭৯৬ পাউন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হন। লন্ডনে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমান মোট ৭.৩ বিলিয়ন পাউন্ড। এর পরের স্থানে রয়েছে সাউথ-ইস্ট এবং পূর্ব লন্ডন। লন্ডনের ক্ষতি এই দুটি অঞ্চলে সমন্বিত ক্ষতির সমান। সবচেয়ে বেশী সংখ্যক এমন শ্রমিক কর্মী হচ্ছেন পশু চিকিৎসক, শিক্ষক ও শেষকৃত্য পরিচালক পেশার লোক।
টিইউসি’র রিজিওনাল সেক্রেটারী স্যাম গার্নি বলেন, বিভিন্ন সময়ে দীর্ঘতর সময় কাজ করতে কেউই কিছু মনে করেন না। তবে লন্ডনের কিছু শ্রমিক-কর্মী গত বছর হাজারো পাউন্ডেরও পারিশ্রমিকবিহীন ওভারটাইম কাজ করেছেন। অপরিশোধিত কর্মঘন্টা কখনো একটি নিয়মিত অভ্যাস হওয়া উচিত নয়- তাহলে সেটা হবে শুধুমাত্র শোষন। তিনি আরো বলেন, অনেক ইন্ডাষ্ট্রিতে স্টাফ ঘাটতি, কাজের ব্যাপকতা ও চাপের দরুন অধিকতর সময় কাজ করতে হয়, এটা একটি বড়ো সমস্যা। লক্ষনীয় যে, অপরিশোধিত মজুরী সম্বলিত ওভারটাইম সরকারী খাতে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। এসব খাতে কর্মীদের ১৪.৮ শতাংশ বলেছেন যে, তারা মজুরী ছাড়াই অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন। অপরদিকে বেসরকারী খাতে এটা ১১.৭ শতাংশ।
গার্নি আরো বলেন, যুক্তরাজ্যে সরকারী খাতের শ্রমিক-কর্মীদের সপ্তাহে ৮০ ঘন্টারও বেশী মজুরীবিহীন ওভারটাইম বা অতিরিক্ত সময় খাটতে হয়। শুধুমাত্র কৃতজ্ঞতা দিয়েই তাদের পেট ভরবে না। লন্ডনে স্টাফরা জ্বলেপুড়ে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে এবং তাদের পেশা ছেড়ে দিচ্ছে।
টিইউসি ‘ওয়ার্ক ইয়োর প্রোপার আওয়ারস্ ডে’-এর অংশ হিসেবে উপাত্তটি প্রকাশ করেছে। টিইউসি বলেছে যে, এই দিনটি ঐতিহাসিকভাবে বেছে নেয়া হয়েছে, যখন মজুরীবিহীন কাজকর্মকারী গড় পড়তা শ্রমিকেরা ফ্রি কাজ কার্যকরভাবে বন্ধ করবে।