ব্রিটিশ মুসলিমরা বার্ষিক ১ বিলিয়ন পাউন্ড দান করেন
এনাম চৌধুরী: লন্ডনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ‘আয়ান ইনস্টিটিউট’ – এর এক নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ মুসলিমরা বার্ষিক কমপক্ষে ১ বিলিয়ন পাউন্ড অর্থ দান করেন। ২০৫১ সাল নাগাদ এই অর্থের পরিমান বার্ষিক ৪ বিলিয়নে পৌঁছবে। যুক্তরাজ্যের মুসলিম মানবতাবাদী দাতব্য খাত বিশ্লেষন করে রিপোর্টে বলা হয় যে, ব্রিটিশ মুসলিম হিউম্যানিটারিয়ান চ্যারিটিগুলো ২০২০ সালে ৭০৮ মিলিয়ন পাউন্ড সংগ্রহ করে, যা যুক্তরাজ্যের দাতব্য কর্মকান্ডে মুসলিম প্রদত্ত দানের সাথে সমন্বিত (২৭৫২ টি মসজিদ ও প্রার্থনার স্থানসহ) অর্থ্যাৎ বার্ষিক ১ বিলিয়ন পাউন্ড প্রদত্ত হয়েছে। রিপোর্টে দাতব্য সংস্থাগুলোকে অধিকতর কৌশলী ও কার্যকর হওয়ার পন্থা অবলম্বনের সুপারিশ করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, দাতব্য সংস্থাগুলোর উচিত তাদের প্রকল্পসমূহ বহুমুখীকরন। তবে তাদেরকে উপকারভোগীদের জীবনকে এগিয়ে নিতে প্রচারনা, এডভোকেসি ও ইসলামোফোবিয়া বিরোধী কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকা উচিত। এক্ষেত্রে বিশ্বের শরনার্থী ও বাস্তহারা মানুষকে সহায়তা প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করা যায়। এছাড়া রিপোর্টে দাতব্য ও কমিউনিটি কর্মকান্ডের মতো মুসলিমদের ইতিবাচক ঘটনাবলীকে আরো বেশী প্রচারের জন্য মিডিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে নেতিবাচক ও ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়া বিরোধী প্রচারনা চালানোর জন্যও মিডিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, মুসলিম দান হচ্ছে এমন একটি খাত যেখানে মুসলিম উম্মাহর ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গী ও ভ্রাতৃত্ববোধ অত্যন্ত দৃঢ়। এটা দেখতে হৃদয়গ্রাহী যে, যুক্তরাজ্যের মুসলমানরা মানবিক সহায়তাকর্মে জড়িত। তারা উম্মাহর চেতনায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তবে কাজটি এতো গুরুত্বপূর্ন হলেও এ নিয়ে খুব কমই গবেষনা হয়েছে, এর কার্যকারিতা নিয়ে মূল্যায়ন হয়েছে কম। যখন তাদের কর্মকান্ড যুক্তরাজ্যে সীমাবদ্ধ তখন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের মুসলিম সম্প্রদায়গুলো তাৎপর্যপূর্ন অবদান রাখছেন বিশ্বব্যাপী।