ব্রিটেনে নিত্যপন্যের দাম রেকর্ড ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি
গবেষনা কোম্পানী ‘কান্তার’ বলেছে, ব্রিটেনে গ্রোসারি অর্থ্যাৎ মুদী সামগ্রীর দাম গত এক বছরের তুলনায় ১৭.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের মতে, জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট দূর হওয়ার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। তাদের নতুন গবেষনায় বলা হয়েছে, দুধ, ডিম ও মার্জারিনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর উর্ধ্বগতি গ্রোসারি সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে। তাদের গবেষনা অনুযায়ী, প্রতি ৪ জনে ১ জন ক্রেতা আর্থিক টানাপোড়নে আছেন।
রুশ-ইউক্রেইন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি গত তিন মাস ধরে কমতে শুরু করেছে। গত জানুয়ারীতে এটা ১০.১ শতাংশ ছিলো। ডিসেম্বরে ছিলো ১০.৫ শতাংশ।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ঠিক পর থেকেই খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়তে শুরু করে। যুদ্ধের ফলে জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধি পায় এবং খাদ্যশস্য, শাকসবজি ও সারের সরবরাহ হ্রাস পায়।
কান্তারের গবেষনা অনুসারে, জীবনযাত্রার ব্যয়ের চাপ সত্বেও তা এবছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র উৎসাহ-উদ্দীপনাকে মলিন করতে পারেনি। এবার দ্বিগুন ওয়াইন বিক্রি হয়েছে। ক্রেতারা চকোলেটের বাক্স ক্রয়ে অতিরিক্ত ৫ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারী স্টিক বিক্রি এক চতুর্থাংশ বৃদ্ধি পেতে দেখা যায় এর আগের সপ্তাহের তুলনায়।
কান্তার-এর রিটেইল এন্ড কনজ্যুমার ইনসাইটের প্রধান ফ্রেজার ম্যাককেভিট বলেন, ক্রেতারা বর্তমানে বেশ কিছু সময় ধরে স্থির মূল্যবৃদ্ধি মোকাবেলা করছেন। ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত পূর্ন একটি বছর মূল্যস্ফীতি ৪ শতাংশের বেশী ছিলো। এটা জনজীবনে বড়ো ধরনের প্রভাব ফেলবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সর্বশেষ গবষনায় দেখা গেছে যে, মুদী সামগ্রীর মূল্যস্ফীতি জ্বলানীর মূল্যের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ন আর্থিক বিষয়। দুই তৃতীয়াংশ জনগন খাদ্য ও পানীয়ের মূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। এছাড়া তারা সরকারী খাতে ধর্মঘট ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও উদ্বিগ্ন।