অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের অধিকাংশই বিলম্বের কারনে রোগী মৃত্যু দেখেছেন
এক নতুন জরীপে দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশী অ্যাম্বুলেন্স কর্মী প্রত্যেকে একজন রোগীকে মারা যেতে দেখেছেন ৯৯৯- তে কলের পর হাসপাতালে পৌঁছতে বিলম্ব কিংবা এএন্ডই-তে অতিরিক্ত ভিড়ের কারনে। সম্মুখ সারির প্যারামেডিক্স ও অন্যান্য অ্যাম্বুলেন্স স্টাফদের মাঝে পরিচালিত এক জরীপে এনএইচএস’র জরুরী ও ইমার্জেন্সী কেয়ার কর্তৃক সৃষ্ট রোগীদের নিরাপত্তা ঝুঁকির অপর এক রুঢ় চিত্র পাওয়া গেছে।
জেএমবি ইউনিয়নের ন্যাশনাল সেক্রেটারি র্যাচেল হ্যারিসন বলেন, এসব প্রাপ্ত বিষয় চরম ভীতিকর, যাতে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের এনএইচএস অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসমূহে কর্মরত ১২ শ’র বেশী সদস্যদের মতামত নেয়া হয়েছে। জরীপকালে তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয়, তারা কি অ্যাম্বুলেন্স সংশ্লিষ্ট কিংবা কেয়ার সিস্টেমের অন্য অংশে সংঘটিত কোন বিলম্বের দরুন সংঘটিত কোন মৃত্যুর ঘটনা দেখেছেন। এর জবাবে ৫৩ শতাশ অর্থ্যাৎ অর্ধেকের বেশী ব্যক্তি বলেন যে, তারা হাসপাতাল স্টাফের কাছে একজন রোগীকে হস্তান্তরের জন্য এএন্ডই’র বাইরে একটি পুরো শিফট অপেক্ষা করে কাটাতে হয়েছে। রয়াল কলেজ অব ইমার্জেন্সী মেডিসিন- এর সভাপতি ডাঃ অ্যাড্রিয়ান বোয়েল বলেন, যে বিলম্ব ও সেবার সম্প্রসারন আমরা দেখি তা বিবেকহীন ছাড়া আর কিছু নয়।
এএন্ডই চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্বকারী আরসিএএম গত সপ্তাহে নতুন বিশ্লেষন ইস্যু করে যাতে দেখা যায় যে, এএন্ডই’তে কমপক্ষে ১২ ঘন্টা কাটানোর প্রত্যক্ষ কারনে প্রতি ২৩ মিনিটে একজন রোগী মারা যায়, সাধারনত: একটি শয্যার জন্য মূল হাসপাতালে অপেক্ষা করছে বলে। জনৈক র্শীষস্থানীয় স্ট্রোক চিকিৎসক বলেন, আমি এবারের শীত মৌসুমে রোগীদের দেখেছি যারা অ্যাম্বুলেন্স বিলম্বের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদি তারা দেরী করে তবে আমরা তাদের চিকিৎসা করতে পারবো না। তখন চিকিৎসকের খুব সামান্যই করার থাকে। মাত্র ক’ঘন্টার বিলম্বের অর্থ হচ্ছে, রোগী মারা যেতে পারে কিংবা অক্ষম হয়ে পড়তে পারে। হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে কয়েক মিনিটই রোগীর জীবন ও মৃত্যু নির্ধারন করে দিতে পারে।