ক্ষুদ্র নৌকায় আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ২৮ দিনের মধ্যে ফেরত পাঠানো হবে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ক্ষুদ্র নৌকা আসা বন্ধ করাটাই হচ্ছে ব্রিটিশ জনগনের একটি অগ্রাধিকার। সরকারের নতুন এসাইলাম পরিকল্পনার সমর্থনে তিনি সম্প্রতি একথা বলেন। মাইগ্রেশন মোকাবেলার পরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নসমূহের বিষয়ে লেবার নেতা স্যার কেইর স্টার্মারের বিতর্কের সময় ঋষি সুনাক এমন মন্তব্য করেন। ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যমুখী অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঠেকাতে নতুন আইনের কথা ঘোষনা করা হয় গত মঙ্গলবার।
স্যার কেইর স্টার্মার বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী যদি সিরিয়াস হতেন, তবে তিনি লেবার পার্টির পরিকল্পনা কাজে লাগাতেন এবং মানব পাচারকারী গোষ্ঠীকে গুঁড়ো করে দিতেন।
তিনি আরো বলেন, অন্যান্য দেশের সাথে ফেরতদানের চুক্তি না থাকা অবস্থায় নতুন আইন ক্ষুদ্র নৌকার সংখ্যা হ্রাস করবে এমন ধারনায় মিঃ সুনাক বিভ্রান্তিতে আছেন। লেবার নেতা বলেন যে, ক্ষুদ্র নৌকায় আগতদের ১ শতাংশের কম লোকের নিকট থেকে পাওয়া আবেদনপত্র প্রোসেস বা পক্রিয়াকরন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এসাইলাম সিস্টেমটি ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, তার মতে, ঐসব বোট কেসের প্রোসেসিং অগ্রহনযোগ্য থেকে এখন প্রায় অস্তিত্বহীন। কিন্তু মিঃ স্টার্মার সমস্যাটি মোকাবেলা করতে চাইছেন না বলে তাকে অভিযুক্ত করেন মি: সুনাক। তিনি দাবি করেন, মিঃ স্টার্মার কখনো কঠোর এসাইলাম আইনের পক্ষে ভোট দেননি। মিঃ সুনাক হাউস অব কমন্স- এ বলেন, নৌকা বন্ধ করা শুধু আমার অগ্রাধিকারই নয় বরং এটা জনগনের অগ্রাধিকার।
গত মঙ্গলবার সরকার ঘোষনা করে যে, যদি কেউ অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেছে দেখা যায়, তবে তাকে যে শুধু যুক্তরাজ্য থেকে ২৮ দিনের মধ্যে বহিষ্কার করা হবে এমন নয়, ভবিষ্যতে সে যাতে যুক্তরাজ্যে আসতে না পারে কিংবা যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব দাবি করতে না পারে সেজন্য সেই পথ বন্ধ করা হবে। যারা ক্ষুদ্র নৌকায় আসবে তাদেরকে হয় তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে কিংবা রুয়ান্ডার মতো অন্য কোন অনিরাপদ তৃতীয় দেশে পাঠানো হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বলেছেন, ব্রিটিশ জনগন ক্ষুদ্র নৌকায় আসা যথেষ্ট অভিবাসন প্রত্যাশী পেয়েছে।