যুক্তরাজ্য ত্যাগে অবৈধদের এবার খুদে বার্তা
কামাল আহমেদ: অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন টোরি সরকার একের পর এক যেসব পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে তাতে সম্প্রতি যোগ হয়েছে সন্দেহভাজনদের মুঠোফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠানো। প্রায় ৪০ হাজার লোকের কাছে এই বার্তা পাঠানোর পর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রায় ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এতে অভিযোগকারীরা দাবি করেন, তাঁরা বহু আগেই বৈধতা অথবা নাগরিকত্ব লাভ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছে এ ধরনের খুদে বার্তা পাঠানোয় তাঁরা মর্মাহত।
খুদে বার্তায় বলা হয়, ‘ইউকে বর্ডার এজেন্সির বার্তা। আপনি যুক্তরাজ্যে বেআইনিভাবে অবস্থান করছেন বিধায় আপনার উচিত যুক্তরাজ্য ত্যাগ করা।’ প্রায় ৫৮ হাজার ৮০০ জন অবৈধ অভিবাসীকে খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এই খুদে বার্তা পাঠানো হচ্ছে। সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসীদের কাছে এই বার্তা পাঠানোর কাজটি করেছে বেসরকারি কোম্পানি ক্যাপিটা। সরকারের পক্ষে ক্যাপিটা এ পর্যন্ত ৩৯ হাজার ১০০ জনকে এই বার্তা পাঠিয়েছে।
সরকারের এই পদক্ষেপকে বিশৃঙ্খল এবং অদক্ষতার পরিচায়ক হিসেবে অভিহিত করে বিরোধী দল লেবার পার্টি এ বিষয়ে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। ওই কোম্পানিকে এই কাজের জন্য কত অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা-ও জানতে চেয়েছে লেবার পার্টি।
ছায়া মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেভিড হ্যানসন শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, করদাতাদের টাকায় বেসরকারি খাতের কোম্পানিকে দিয়ে নিজেদের নাগরিকদের বিব্রত করা একটি ভুল পদক্ষেপ। বিরোধী দল লেবার পার্টি এ বিষয়ে এর আগে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য সংবলিত পোস্টারসহ ভ্রাম্যমাণ যানে অবৈধ অভিবাসীদের লক্ষ্য করে চালানো প্রচারাভিযানের কথাও উল্লেখ করে।
ওই প্রচারাভিযানকে টোরি পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ‘বর্ণবাদী’ ও ‘আপত্তিকর’ বলে অভিহিত করেছিল।
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞাপনমান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান, অ্যাডভারটাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি (এএসএ) সম্প্রতি সরকারের ওই বিজ্ঞাপনকে বিভ্রান্তিকর অভিহিত করে তা নিষিদ্ধ করে।