যুক্তরাজ্যের অভিবাসী সংক্রান্ত বিল আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন
জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থার জনৈক কর্মকর্তা বলেছেন, অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের নতুন আইন শরনার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তির পরিপন্থী এবং তাই এটা আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন। জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের (ইউএনএইচসিআর)জনৈক মুখপাত্র ম্যাথু সল্টমারশ্ বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি আন্তর্জাতিক চুক্তির লংঘন এবং তাই এটা আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সহযোগিতার পরিপন্থীও বটে।
ইউএনএইচসিআর অনুসারে, যুক্তরাজ্য বর্তমানে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। আশ্রয় প্রার্থীদের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গত বছর দেশটিতে প্রায় ৭৫ হাজার আশ্রয় দাবির আবেদন করা হয়। তিনি আরো বলেন, যদি আইনটি পাশ হয়, তবে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের উপর একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে এবং দেশটি তার আশ্রয় পদ্ধতি বন্ধ করে দেবে। আশ্রয়ের অধিকার বিশ্বজনীন এবং তা মৌলিক বিষয়। এটা মৌলিক নীতি যার ওপর শরনার্থী চুক্তি ভিত্তিশীল।
সল্টমারশ্ অনুসারে, এটা উদ্বেগের বিষয় যে, লোকজন বিপজ্জনক পন্থা অবলম্বন করছে এবং যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য তাদের জীবনকে বিপন্ন করছে। অবশ্য এটা দেশের ক্ষেত্রে কোন অভূতপূর্ব অনন্য পরিস্থিতি নয়। যখন যুক্তরাজ্যে শরনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন পরিস্থিতি প্রত্যাশিত নয়।
সল্টমারশ্ এই বলে জোর দেন যে, অনেক দেশ বছরের পর বছর শরনার্থী ঠাঁই দিচ্ছে এবং বিপুল সংখ্যক শরনার্থীকে এভাবে ঠাঁই দিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য অনেক দেশে বিপুল সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থী ও শরনার্থী রয়েছে। এক্ষেত্রে তুরস্কের উদাহরন দেয়া যায়। তুরস্ক অনেক বছর যাবৎ বহু লাখ সিরীয় শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে এবং তা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স ও জার্মানীও তাই করছে। বর্তমানে পূর্ব ইউরোপীয় দেশসমূহও অনেক ইউক্রেনীয় শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, আশ্রয়প্রার্থী ও শরনার্থীদের আটক রাখা চরম সমস্যাপূর্ন। যে অবস্থার মধ্যে লোকজনকে আটক রাখা হয়, এতে অনেক বিষয় রয়েছে, এটা লোকজনের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
তিনি বলেন, শরনার্থীদের আটক রাখা ব্যয়বহুল। কোথায় তারা থাকার জন্য যাচ্ছে, এ নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় প্রেরনে সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করি না।