মূল্যবৃদ্ধি কম সচ্ছলদের দুর্ভোগে ফেলেছে: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলী এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারন করেছেন যে, মূল্যবৃদ্ধি জীবনযাত্রার ব্যয় আরো বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং এটা কম সচ্ছলদের সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে ফেলবে। তিনি আরো বলেন, সকল মূল্য মূল্যস্ফীতিতে অবদান রাখে তবে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে। তিনি বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি জনগনকে পীড়িত করে এবং তিনি সতর্ক করে দেন, যদি মূল্য অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পায় তবে ব্যাংক আবারো রেইট বৃদ্ধি করবে। মিঃ বেইলী বলেন, আমি লোকজনকে বলতে চাই, যদি আমরা মূল্যবৃদ্ধি বদ্ধমূল করে নেই, তবে সুদের হার আরো বাড়বে এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি থেকে কেউই লাভবান হবেন না।
জ্বালানী ও খাদ্যপন্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী গৃহস্থালীসমূহের আর্থিক সক্ষমতা সংকুচিত হচ্ছে। একই অবস্থা যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয়ের চাপ কম সচ্ছলদের সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করছে, কারন তাদেরকে তাদের আয়ের বৃহত্তর অংশ ব্যয় করতে হচ্ছে খাদ্য ও জ্বালানীর পেছনে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ঋনগ্রহন ব্যয়বহুল করতে এবং কম ব্যয়ে উৎসাহিত করতে অব্যাহতভাবে সুদের হার বৃদ্ধি করছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুত মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করা। কিন্তু উচ্চ সুদের হার মর্গেজের মতো বিদ্যমান কিছু ঋনকে বিপন্ন করবে।
মিঃ বেইলী বলেন, ফার্মগুলোকে মনে রাখতে হবে যে, মূল্যস্ফীতির হার সম্ভবত: দ্রুত হ্রাস পাবে এবছর। তিনি বলেন যে, তিনি এ পর্যন্ত এমন প্রমাণ দেখতে পাননি যে, কোন কোম্পানী প্রয়োজনের চেয়ে বেশী মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়েছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, তারা যে মূল্যের সম্মুখীন তারই প্রতিফলন ঘটানো আবশ্যক হয়েছে তাদের জন্য।
মিঃ বেইলীর সতর্কবানীর প্রতিক্রিয়ার জবাবে রেয়ার রেস্টুরেন্টস এর চীফ এক্সিকিউটিভ মার্টিন উইলিয়ামস্ বলেন যে, মূল্যবৃদ্ধিতে ব্যবসাসমূহ ইতোমধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে। রেস্তোঁরার মালিকেরা মূল্য স্বল্প রাখতে দায়িত্বশীলতার সাথে প্রচেষ্টা করেছেন এবং এভাবে তাদের ব্যবসাকে চালু রেখেছেন, যখন ক্রমবর্ধমান মজুরী, খাদ্য ও জ্বালানীর ব্যয় মোকাবেলা করতে হয়েছে তাদের। মিঃ উইলিয়াম আরো বলেন, এটা উদ্যোক্তা ও ব্যবসা শুরুকারীদের অবিশ্বাস্যভাবে আঘাত করেছে।