১০ হাজার দাসত্ববৃত্তির ভিকটিম ২ বছর যাবৎ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়
এফওআই- এর এক উপাত্তে দেখা গেছে, প্রায় ১০ হাজার সন্দেহভাজন আধুনিক দাসত্ববৃত্তির ভিকটিম বা শিকার তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য দুই বছরেরও বেশী সময় যাবৎ অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে তারা নতুন করে শোষনের শিকার হচ্ছেন।
এই উপাত্ত থেকে জানা গেছে, সম্ভবত ৯৫০০ আধুনিক দাসত্ব থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য ২ বছরেরও বেশী কাল যাবৎ প্রতীক্ষায় রয়েছেন, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৩ গুন বেশী। চার বছর আগে এই সংখ্যা ছিলো মাত্র ৩৯৭ জন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিকটিমদের এতো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে যে তারা বাধ্য হচ্ছেন তাদের শোষনকারী নিয়োগদাতা, দাতব্য সংস্থা এবং আগের গৃহস্থালীর শ্রমিকদের খপ্পরে ফিরে যেতে। এতে ন্যাশনাল রেফারেল মেকানিজম (এনআরএম) এর ওপর চাপ পড়ছে, যা তদন্ত চলাকালীন সময়ে দাসত্ববৃত্তির শিকারদের শনাক্তকরন ও সহায়তা প্রদান করে থাকে। আধুনিক দাসত্ব মোকাবেলার ক্ষেত্রে সমস্যাটি নিয়ে সম্প্রতি আলোকপাত করা হচ্ছে ঋষি সুনাকের ক্ষুদ্র নৌকায় আসা সংক্রান্ত পরিকল্পনার মাধ্যমে, যা যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে আসা পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অযোগ্য প্রতিপন্ন করবে এবং তাদেরকে রুয়ান্ডায় প্রেরনের বিষয়টি দেখবে।
হোম অফিস থেকে প্রাপ্ত এফওআই’র উপাত্ত অনুসারে, বর্তমানে আধুনিক দাসত্ববৃত্তির পটভূমি নিয়ে প্রেরিত ২৯৯৬৬ ব্যক্তি একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত লাভের অপেক্ষায় আছেন। এদের মধ্যে ৯৪৯৩ জন সন্দেহভাজন ভিকটিম গত ২ বছরেরও বেশী সময় ধরে অপেক্ষা করছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারী মাসের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এটা ২০২১ সালে তুলনায় ৩ গুনেরও বেশী। ২০২৩ সালে ২ বছরেরও বেশী সময় যাবৎ অপেক্ষমান ব্যক্তিদের সংখ্যা ২০২০ সালের ৬০৫ ব্যক্তির তুলনায় অনেক বেশী। এর আগের বছর অর্থ্যাৎ ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিলো মাত্র ৩৯৭ জন।
জানুয়ারী মাসে উপাত্ত বা পরিসংখ্যান অনুসারে, এই মাসে ৭৩৭৫ ব্যক্তি তাদের মামলার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তের জন্য ১ থেকে ২ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন। লিবারের ডেমোক্রেটিক দলের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র অ্যালিস্টার কারমাইকেল এমপি বলেন, এধরনের বিলম্ব অগ্রহনযোগ্য।