যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতিতে নতুন রেকর্ড
যুক্তরাজ্যের সুপারমার্কেটে পন্যের মূল্যস্ফীতি আরেকটি রেকর্ড ছুঁয়েছে। এর ফলে গৃহস্থালীর বার্ষিক ব্যয়ে যুক্ত হয়েছে বাড়তি ৮৩৭ পাউন্ড। এ অবস্থায় ক্রেতারা বিভিন্ন সুপার মার্কেট ঘুরে দাম যাচাই ও দর কষাকষির আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন। গত ১৯ মার্চ পর্যন্ত গত ৪ সপ্তাহে মুদীপন্যের দাম এর আগের তুলনায় সর্বকালের রেকর্ড ১৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ডাটা প্রতিষ্ঠান কান্তার এ সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিসংখ্যান দিয়েছে। তাদের তথ্য অনুসারে ডিম, দুধ ও পনিরের দাম সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধির মানে হচ্ছে, গৃহস্থালীগুলোর মুদী সামগ্রীর বিল বা ব্যয় বার্ষিক গড়ে ৫৬১৭ পাউন্ড। এ অবস্থায় ভোক্তারা কম দামে পন্য কেনার জন্য ছোটাছুটি করছেন মার্কেট জুড়ে। তাদের অনেকে ৩ কিংবা এর চেয়েও বেশী দোকানে ঢুঁ মারছেন তুলনামূলক কম দামে জিনিসপত্র কেনার জন্য। দশটি শীর্ষ খুচরো দোকানে তারা ঘোরাঘুরি করছেন।
কান্তা-এর রিটেইল অ্যান্ড কনজ্যুমার ইনসাইট এর প্রধান ফ্রেজার ম্যাককেভিট বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয়, ব্রিটিশ জনগনের জন্য এটা অধিকতর খারাপ সংবাদ, যারা গত নয় মাস যাবৎ গ্রোসারির দুই অংকের মূল্যস্ফীতির দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, তবে ক্রেতারা মূল্যের ভালো মান পাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন এবং এজন্য স্পষ্টতই চারদিক চষে বেড়াচ্ছেন। অপরদিকে সুপার মার্কেটগুলো মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় লড়াই করছে, ভালো দামে পন্য বিক্রির চেষ্টা করছে। এটা একটি মারাত্মক প্রতিয়োগিতামূলক খাত এবং যদি জনগন একটি স্টোরের কোন পন্যের দাম পছন্দ না করে, তবে তারা অন্যত্র চলে যাবে।
লক্ষনীয় যে, ১৯ মার্চ পর্যন্ত গত ১২ সপ্তাহে সামগ্রিকভাবে মুদী পন্যের বিক্রি ৮.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গত মাসে ইন্ডিপেন্ডেন্ট শপসমূহে টমাটো, কাঁচা মরিচ ও শসা বিক্রির পরিমান যথাক্রমে ৩২, ২৬ এবং ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। জ্বালানীর উচ্চমূল্যের দরুন পন্য ঘাটতির আশংকা, ব্রেক্সিট এবং জলবায়ু সংকটের কারনে এটা ঘটে। কান্তার বলেছে, লোকজন ঈস্টারের কেনাকাটা শুরু করেছেন। ফলে চকোলেট এগ বিক্রির পরিমান ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং হট ক্রস বানের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ। জার্মান ডিসকাউন্টার লিডল্ ছিলো সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান সুপারমার্কেট। অপরদিকে আলদি’র মার্কেট শেয়ার ৯.৯ শতাংশের রেকর্ডে পৌঁছেছে।