এনএইচএস’র স্বাস্থসেবা নিয়ে জনগণের সন্তুষ্টির মাত্রা রেকর্ড নিম্ন পর্যায়ে
‘ব্রিটিশ সোশ্যাল এটিটিউডস’ এর জরীপ অনুসারে, এনএইচএস-এর প্রতি জনগণের সন্তুষ্টি রের্কড নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। জরীপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ২৯ শতাংশ বলেছেন যে, ২০২২ সালে এনএইচএস-এর কার্যক্রমে তারা সন্তুষ্ট ছিলেন। এক্ষেত্রে স্টাফ স্বল্পতা সবচেয়ে বড়ো কারণ বলে তারা মনে করেন।
গত বছরের তুলনায় এটা ৭ শতাংশ কম এবং ২০১০ সালের ৭০ শতাংশ থেকে বড়ো পতন। এ ধরনের জরীপের কাজ ১৯৮৩ সাল থেকে করে আসছে সংস্থাটি।
‘এক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইমার্জেন্সী’ দেখতে পেয়েছে সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে বড়ো ধরনের পতন। তবে জিপি এবং ডেন্টিস্ট্রি থেকে সাধারণ হাসপাতাল পর্যন্ত সেবা সকল সেবায় রেইটিংয়ে পতন দেখেছে তারা।
এই জরীপটি করা হয় ৩৩০০ লোকের ওপর শীত ঋতুর আগে শরৎকালে। এই সময়ে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে অপেক্ষার সময় রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছিলো। এই তিন জনগোষ্ঠীই তাদের মূল এনএইচএস অপেক্ষার সময়ের টার্গেট ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়।
জরীপে ১০ জনের ৮ জনেরও বেশী এই নীতি সমর্থন করে যে, এনএইচএস সকলের লভ্য হওয়া এবং প্রাথমিকভাবে করের দ্বারা এর অর্থায়ন হওয়া উচিত।
জনৈক গ্যারেথ গ্রিফিথস্ বলেন, সন্তুষ্টির ক্ষেত্রে পতন বিস্ময়কর কিছু নয় এনএইচএস এর বর্তমান অবস্থা বিবেচনায়। তার ৮৩ বছর বয়সী ক্যান্সার রোগী পিতা পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার পর এক্সিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সীতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু একটি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য তাকে ৯ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। সারা রাত তাকে একটি করিডোরে রাত কাটাতে হয়। কারণ ওয়ার্ডগুলোতে কোন বেড খালি ছিলো না। কিংস ফান্ড-এর ড্যান ওয়েলিংস বলেন, এসব বিব্রতকর প্রাপ্ত বিষয় ক্ষমতাসীনদের প্রতি জেগে ওঠার আহ্বানের মতোই হওয়া উচিত।
জরীপে আরো দেখা গেছে, এমনকি সোশ্যাল কেয়ারে সন্তুষ্টির রেইটিং নিম্ন, যা কাউন্সিলসমূহ কর্তৃক পরিচালিত হয়। শুধুমাত্র ১৪ শতাংশ লোক জানায় যে, ঐসব সেবায় তারা সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে প্রবেশের বিষয়ই আসল সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা জনগনের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।