২০০৯ সালের পর বাড়ির সর্বোচ্চ দরপতন যুক্তরাজ্যে
ন্যাশনওয়াইড অনুসারে, মার্চে গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ির দরপতন ঘটেছে। সংস্থাটির সর্বশেষ তথ্য অনুসারে এটা জানা গেছে। ঋন প্রদানকারী এই সংস্থা বলেছে, গত বছরের তুলনায় বাড়িরর দাম ৩.১ শতাংশ কমেছে, যা ২০০৯ সালের জুলাইয়ের পর থেকে সর্ববৃহৎ বার্ষিক দরপতন।
ন্যাশনওয়াইড আরো বলেছে, গত বছর সম্পত্তির বাজার একটি ঘূর্নাবর্তে পতিত হয়। মিনি বাজেটের পর সৃষ্ট গোলযোগপূর্ন আর্থিক বাজারের পর এটা দেখা যায়। আর তখন থেকে কর্মকান্ড স্থবির হয়ে আছে। ঋনদাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনওয়াইড- এর প্রধান অর্থনীতিবিদ রবার্ট গার্ডনার বলেন, শীঘ্রই বাজার পুনরুদ্ধার মুশকিল হবে। যেহেতু ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং গৃহস্থালীসমূহের বাজেট তীব্র মূল্যস্ফীতির দরুন চাপের মধ্যে রয়েছে।
বাড়ির দরপতন সাধারনত সম্ভাবনাময় প্রথম বারের মতো ক্রেতাদের কাছে স্বাগত, যারা সম্পত্তির মূল্য বাড়তে দেখেছেন, এমনকি মহামারির সময়ও তা প্রত্যক্ষ করেছেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, অনেক লোকের জন্য ভাড়া অধিকতর ব্যয়বহুল হয়ে গেছে এবং মর্গেজ ব্যয় তাদের পরিকল্পনার চেয়ে বেশী। অনেকের নিয়মিত বিলের এবং খাদ্যমূল্যের অব্যাহত বৃদ্ধি আর্থিক চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
গত মার্চে সরকারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অর্থনীতির পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ‘অফিস ফর বাজেট রিসপনসিবিলিটি’ এই মর্মে পূর্বাভাস প্রদান করে যে, গত বছরের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি এবং পরবর্তী বছরের মধ্যভাগের মধ্যে বাড়ির মূল্য হ্রাস পাবে। ন্যাশনওয়াইড বলেছে যে, বাড়ির দর তাদের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ৪.৬ শতাংশ ইতোমেধ্যে হ্রাস পেয়েছে মৌসুমী বিষয়াবলী বিবেচনায় নেয়ার পর।
বিনিয়োগ প্লাটফর্ম ‘বেস্টইনভেস্ট’- এর বিশ্লেষক এলিস হেইন বলেন, যা স্পষ্ট তা হচ্ছে এই যে, মহামারির সময়ের চাঙ্গা হয়ে ওঠা সম্পত্তির বাজার, যখন মহামারিতে ক্রেতারা সুপরিসর বাড়িঘর খুঁজছিলেন দূরত্ব বজায় রাখার জন্য, এর সাথে স্টাম্প ডিউটি মওকুফের বিষয়টিও যোগ হয়েছিলো, সেই দিন এখন বিগত। এখন ক্রেতারা ও ঋনদাতারা বাড়িঘরের মালিকানার বিষয়ে অনেক বেশী রক্ষনশীল। এই খাতে দরপতনের একটি বড়ো কারন হচ্ছে মর্গেজ রেট নিয়ে উদ্বেগ। গত বছরের স্বল্পায়ু লিজ ট্রাস সরকারের সময়ের মিনি- বাজেটের পর এই রেইট বৃদ্ধি পায়।