মেট্রোপলিটান পুলিশকে জনগনের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে

মেট্রোপলিটান পুলিশকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী এবং সংগঠিত অপরাধ ইউনিয়নসমূহ থেকে সম্পদ অন্যত্র নিয়ে যাবার পক্ষে কেউই প্রথম পছন্দ হিসেবে সমর্থন জানাবে না। কিন্তু স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের অবস্থা বর্তমানে এমনি এবং এর ওপর জনগনের আস্থা এতোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে এর খুব অল্প বিকল্পই বিদ্যমান।
কমিশনার স্যার মার্ক রাউলি ক্যান্সারের মতো যারা পুলিশ বাহিনীকে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে সেই সব কর্মকর্তাদের বরখাস্তকরণে তার মিশনকে সহায়তা করতে লন্ডনের বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যারা ২০১৩ সাল থেকে পারিবারিক সহিংসতা কিংবা যৌন অপরাধের পরেও তাদের চাকুরীতে বহাল রয়েছে, বর্তমানে সেই ৮৮৫ জন স্টাফের বিরুদ্ধে পর্যালোচনা চলছে। বিচ্ছিন্নভাবে এসব সদস্য যন্ত্রনাদায়ক।
স্যার মার্ক জানান যে, অপরাধ হ্রাসে কিংবা সন্ত্রাস প্রতিরোধে মেট্রোপলিটান পুলিশের তৎপরতার দ্বারাই শুধু তিনি বিচার্যই হবেন না, বরং কতো দ্রুত তার নেতৃত্বাধীন এই প্রতিষ্ঠানকে তিনি সংস্কারে সক্ষম হয়েছেন, তার দ্বারা তিনি মূল্যায়িত হবেন। ব্যারোনেস ক্যাসি’র পর্যালোচনায় তার বাহিনীকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বর্নবাদী হিসেবে পাওয়া গেছে। সাগরের চেয়েও বেশী পরিবর্তনেই হয়তো বাহিনীটির সমগ্র সংস্কৃতি পরিবর্তনে যথেষ্ট হতে পারে। মেট্রোপলিটন পুলিশ যে কনসেন্ট মডেলে কাজ করে তা মূল্যবান এবং এর কর্মকান্ড শুধু তখনই যথাযথভাবে হতে পারে যদি পুলিশের সেবার প্রতি জনগনের আস্থা থাকে। সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে তা দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় হতে হবে, যা গ্রহন করতে হবে প্রত্যেক কর্মকর্তাকে। লন্ডন দীর্ঘকালীন একটি ব্যাপক লেবারদের নগরী। এমনকি ২০১৯ সালে. যখন জেরেমি করবিন দলটির নেতৃত্বে ছিলেন এবং ১৯৩৫ সালের পর সবচেয়ে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরন করেন, তখনো তা-ই ছিলো। তখনো এটা প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সর্বশেষ জরীপে রক্ষনশীলদের জন্য এখনো সতর্ক-সংকেত দেবে দলটি। তাই লন্ডনকে অবহেলা বা উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। রক্ষনশীলদের জন্যেও পুলিশ বাহিনীর সংস্কার তাই গুরুত্বপূর্ন দলীয় এজেন্ডা হতে পারে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button