এসাইলাম কেইসওয়ার্কারদের গণহারে চাকুরীত্যাগ
প্রস্তাবিত নতুন ইল্লিগ্যাল মাইগ্রেশন বিল অর্থ্যাৎ অবৈধ অনুপ্রবেশ বিল এর কারনে হোম অফিসের কেস ওয়ার্কারদের ব্যাপক হারে চাকুরী ত্যাগের আশংকা দেখা দিয়েছে। কাজের অতিরিক্ত চাপের দরুন এমনটি ঘটছে। মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন হোম অফিসের এমন একজন কেইসওয়ার্কার বলেন যে, স্টাফরা ক্ষুব্ধ। কারন হোম অফিস তাদেরকে কাজে ধীর গতির জন্য অভিযুক্ত করছে, যখন ডকুমেন্ট হারানো, দ্রুত নীতিমালা পরিবর্তন এবং অপর্যাপ্ত প্রক্রিয়া তাদের কাজকে বিঘ্নিত করছে।
গত বছর এসাইলাম কেইস ওয়ার্কারদের সংখ্যা বার্ষিক ৪৭ শতাংশ হ্রাসের প্রেক্ষাপটে হোম অফিসকে অধিক সংখ্যক স্টাফ সংগ্রহের জন্য একটি ‘রিক্রুইটমেন্ট এন্ড রিটেনশন এলাউন্স’ চালু করতে হয়। স্টাফদের একজন ডেভিড জানান, তার সহকর্মীরা সভা সভাসমূহে এবং সরকারী ম্যাসেজ বোর্ডে বার্তা মারফত এই মর্মে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, আশ্রয়প্রার্থীদের দাবি বিবেচনা ছাড়াই তাদেরকে আটক ও বহিষ্কারের পরিকল্পনাগুলো আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন বলে বিবেচিত হবে। যদি এই বিল পাশ হয় তবে স্টাফদের বড়ো ধরনের বিদায় বা কর্মস্থল ত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘যদি আপনি আইনের মধ্যে কাজ করতে ইচ্ছুক না হন, তবে আপনি একটি আইন চালু করতে পারেন না। আপনি একটি দেশে লোকজনকে মানবাধিকার পেতে বাধাগ্রস্ত করতে পারেন না যেখানে আমাদের মানবাধিকার রয়েছে এবং আমরা শরনার্থী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। আপনি এমন বাজে কাজ করতে পারেন না এবং এটা করে আইন ভঙ্গ করতে পারেন না। নির্বাচিত ব্যক্তি হিসেবে আপনাকে আইন লংঘনের অধিকার দেয়া হয়নি।’
অপর একজন কর্মকর্তা বলেন, এসাইলাম সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী কর্মকর্তাদের কাজ ছেড়ে যাওয়ার কারন হচ্ছে, একটি অগ্রাধিকারের অতিরিক্ত চাপ এবং এমন সব নীতিমালা চালুকরন, যা করা যায়নি। কাজ ছেড়ে যাওয়া জনশক্তির পরিমান বেশ শংকাজনক বলে তিনি উল্লেখ করেন।