যুক্তরাজ্যে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত
যুক্তরাজ্যে বিদ্যুতের জন্য ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপনকারীদের সংখ্যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে চলতি বছরের জানুয়ারীতে। জ্বালানী ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ব্যয় সাশ্রয়ের লক্ষ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর প্রতি গৃহস্থালীগুলোর আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্ডাষ্ট্রি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, গত জানুয়ারী ও মার্চ মাসের মধ্যে কমপক্ষে ৫০৭০০ গৃহস্থালী সোলার বা সৌর প্যানেল স্থাপন করে, যা গত বছরের একই মাসসমূহের চেয়ে দ্বিগুন এবং ২০১৫ সাল থেকে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা।
সোলার এনার্জি ইউকে- এর মুখপাত্র গ্যারেথ সিমকিনস বলেন, গৃহস্থালীসমূহ সোলার এনার্জি অর্থ্যাৎ সৌরবিদ্যুতের ব্যয় সুবিধা ও পরিবেশের বিষয়ে সচেতনতা থেকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌর প্যানেল স্থাপনে অব্যাহতভাবে আগ্রহী হয়েছেন। তিনি বলেন, গত বছর জ¦ালানী সংকট সোলার স্থাপনার প্রতি জনগনকে ধাবিত করে। ইউক্রেইন যুদ্ধ জ্বালানী ব্যয়কে উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দেয় এবং এই মর্মে একটি বড়ো ধরনের সচেতনতা সৃষ্টি হয় যে, সোলার প্যানেল ব্যয় সাশ্রয়ে সহায়তা করতে পারে।
কমপিটিশন ওয়াচডগ সোলার এনার্জি গত বছর অভ্যন্তরীন পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ ও ইনস্যুলেশন ইন্ডাষ্ট্রির ক্ষেত্রে একটি তদন্ত পরিচালনা করে। জ্বালানী ব্যয় কমাতে হিমশিম খাওয়া গৃহস্থালীগুলোর সাথে শোভনীয় আচরন করা হচ্ছে না এমন উদ্বেগের কারনে এটা করা হয়।
‘দ্য কমপিটিশন এন্ড মার্কেট’ বলেছে, দুর্বল অনুশীলনের ভবিষ্যত নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন, যেমন-ব্যয় সাশ্রয়ের সম্ভাবনা, উৎপাদন তৎপরতা ও উপযুক্ততার ব্যাপারে বিভ্রান্তিকর দাবি উত্থাপন। যুক্তরাজ্যের মাইক্রো-জেনারেশন সার্টিফিকেশন স্কীম (এমসিএস) কর্তৃক সোলার প্যানেল স্থাপনের রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসে নতুন ছাদ উপরিভাগে সোলার ইউনিট স্থাপনের সংখ্যা দ্বিগুনের বেশী হয়ে দাঁড়ায়। এটা সরকারের ফীড-ইন-ট্যারিফ (এফআইটি) এর সমাপ্তি ঘটায়। সৌর প্যানেল স্থাপন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে ২০১৫ সালে, যখন গৃহস্থালীসমূহ এফআইটি স্কীমের মাধ্যমে লোভনীয় সরকারী পরিশোধের সুবিধা গ্রহন করে। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে এর ৬৫ শতাংশ কর্তন করা হয়। আর ২০১৯ সালে এই সুবিধা সম্পূর্ন বন্ধ করে দেয়া হয়।