ইংল্যান্ডে এনএইচএস‘র নার্স ধর্মঘট

ইংল্যান্ডের নার্সরা ইংল্যান্ডের অর্ধেক সংখ্যক হাসপাতালে মানসিক স্বাস্থ্য ও কমিউনিটি সার্ভিসগুলোতে ধর্মঘট করেছেন, যা সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। এ অবস্থায় এনএইচএস এর কর্তাব্যক্তিরা স্বাস্থ্য সেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। রয়াল কলেজ অব নার্সিংয়ের সদস্যরা এই প্রথমবারের মতো ইনটেনসিভ কেয়ারসহ সকল ক্ষেত্রে ধর্মঘট পালন করেন।
একটি হসপিটাল ট্রাস্ট বলেছে, তাদেরকে ইনটেনসিভ কেয়ারের রোগীদের অন্যান্য স্থানে সরিয়ে নিতে হয়, কারন আরসিএন এর সাথে একটি একজেম্পশন বা বহির্ভূত রাখা সংক্রান্ত চুক্তি সত্বেও নার্সরা কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান।
আরসিএন আরো জানায়, জীবনরক্ষকারী যত্ন প্রদান নিশ্চিত করতে নার্সরা যাতে পিকেট লাইন থেকে নিজেদের সরিয়ে আনে, সেজন্য কিছু শেষ মুহূর্তের একজেম্পশন বিষয়ে তারা সম্মত হয়। কিন্তু এনএইচএস ইংল্যান্ড রোগীদেরকে ধর্মঘটের সময়ে বিঘ্ন সৃষ্টি ও বিলম্ব হতে পারে সতর্ক করে দেয়।
তারা বলে যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কর্মী প্রদান করা ব্যতিক্রমিকভাবে স্বল্প, আগেকার ধর্মঘটের দিনগুলোর চেয়ে এখন অধিক স্বল্প। এনএইচএস লোকজনকে এই বলে পরামর্শ দিচ্ছে যে, যারা মারাত্মক অসুস্থ কিংবা আহত, তারা যথারীতি ৯৯৯ নম্বরে কল করবেন। তবে জরুরী নয় এমন কল করবেন ১১১ নম্বরে। ব্রাডফোর্ড রয়াল ইনফার্মারির জনৈক একসিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সী কনসালট্যান্ট ডঃ জ্যাকব মাশলিন বলেন, নার্সদের অনুপস্থিতি বিলম্বের কারন হবে এবং হাসপাতাল ও দেশব্যাপী চিকিৎসার মান নিম্ন হবে।
তিনি বলেন, নার্সরা গুরুত্বপূর্ন সেবা দিয়ে থাকেন এবং অন্যান্য স্টাফ সদস্যদের দিয়ে তাদের স্থান পূরন করা যায় না। ডাঃ মাশলিন আরো বলেন যে, তিনি এনএইচএস- এ দীর্ঘ বিলম্বের কারনে ভয়াল আগ্রাসনের ঘটনার সংখ্যা এবং হাসপাতালের স্টাফদের প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছেন। এটা স্টাফ, স্টাফ বার্নআউট ও স্টাফদের মনোবলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, এর ফলে আমরা শেষ পর্যন্ত স্টাফদের হারানোর ঝুঁকি নিচ্ছি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button