ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টিকারী
টার্কিশ এয়ারলাইন্স ৬ শ’ নতুন বিমান ক্রয় করছে
তুরস্কের জাতীয় পতাকাবাহী টার্কিশ এয়ারলাইন্স আগামী জুন মাসে ৬ শ’ নতুন এয়ারক্রাফটের অর্ডার দেবে। আগামী ১০ বছরব্যাপী তুরস্কে সরবরাহ করা হবে এই বিমানগুলো। একটি একক এয়ারলাইন্সের এতো বিপুল সংখ্যক এয়ারক্রাফট কেনার ঘটনা ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টিকারী। গত বছর ডিসেম্বরে ভারত ৪৭০ টি এয়ারবাস ও বোয়িং ক্রয়ের আদেশ প্রদান করে।
গত কয়েক মাসে তুরস্কের এই বিমান ক্রয় বিশ্বে চতুর্থ বড়ো চুক্তি। এয়ার ইন্ডিয়া থেকে আয়ারল্যান্ডের রিয়ান্যায়ার এবং সৌদী আরবের একটি নতুন জাতীয় এয়ারলাইন্স ৭০০ টি জেট বিমানের ফার্ম কিংবা প্রভিশনাল আদেশ প্রদান করে। টার্কিশ এয়ারলাইন্স- এর বিমান বহর বর্তমানে ৪১৪ টি এয়ারক্রাফট নিয়ে গঠিত। এ পরিসংখ্যান গত এপ্রিলের শেষভাগ পর্যন্ত।
চলতি বছরের শেষে এই পরিসংখ্যান ৪২৫ এ উন্নীত হবে। টার্কিশ এয়ারলাইন্স (টিএইচওয়াই) এর চেয়ারপারসন আহমেদ বোলাত বলেন, ২০৩৩ সাল নাগাদ এই সংস্থার এয়ারক্রাফটের সংখ্যা হবে ৮১০। তিনি জানান, আগামী ৪-৫ জুন তুরস্কের ইস্তান্বুলে বিশ্বের ২৮০ টি এয়ারলাইন্সের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিতব্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)- এর বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে তার কোম্পানী উপরোক্ত বিমানগুলোর আনুষ্ঠানিক অর্ডার দেবে।
বোলাত বলেন, বিমানের অর্ডারের অংশ হিসেবে টিএইচওয়াই বোয়িংয়ের সাথে একটি চুক্তির কাছাকাছি রয়েছে। টার্কিশ এয়ারলাইন্স বাকী নতুন এয়ারক্রাফটের অর্ডার দিতে পারে অন্যান্য কোম্পানীকে। আগামী জুনে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান এয়ার শো’তে এই অর্ডার দেয়া হতে পারে। অন্যান্য কোম্পানীর মধ্যে বোয়িং এর ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান ‘এয়ারবাস’- এর ইংগিত দেন তিনি। প্যারিস এয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ জুন।
বিশ্লেষকদের মতে, যাত্রী বহনকারী হিসেবে টার্কিশ এয়ারলাইন্স এর ঘোষনাটিতে একটি শক্তিশালী অভিপ্রায় ব্যক্ত হয়েছে। এয়ারলাইন্সটি করোনা মহামারির সময় দমে যায়নি। বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা না করেই তারা বিশ্বব্যাপী ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ২০১৮ সালে ১২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ইস্তান্বুলে একটি নতুন এয়ারপোর্ট চালু করেন। এরপর থেকে বিশ্বের বহু এয়ারলাইন্স বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী দু’টি বড়ো বিমানবন্দর দুবাই ও দোহার পাশাপাশি তুরস্কের ইস্তান্বুল বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে শুরু করে।