কেলেংকারির তদন্তে কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় পরিবার অনুপস্থিত
প্রসূতি সেবায় এনএইচএস ট্রাস্ট এর ব্যর্থতা
প্রসূতি সেবায় এনএইচএস ট্রাস্ট এর ব্যর্থতার ফলে অনেক শিশুর মৃত্যু ও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এ ব্যাপারে একটি তদন্ত পরিচালনা করা হয়। কিন্তু এতে কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় সংখ্যালঘুদের যথেষ্ট অংশগ্রহন না থাকায়, অনুসন্ধানটি সামগ্রিকভাবে অপর্যাপ্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। মিডিয়ায় এক দশকের বেশী কাল ধরে বিদ্যমান নিম্নমানের সেবাসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হলে ডোন্না ওকেনডেন নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটি হসপিটালস্ এনএইচএস ট্রাস্টে অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দেন। তিনি আরো শত পরিবারকে যোগাযোগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
সিনিয়র ধাত্রী ওকেনডেন স্ট্রবেরি এন্ড টেলফোর্ড হসপিটাল এনএইচএস ট্রাস্টের ব্যর্থতা সংক্রান্ত বিষয়েও ফ্ল্যাগশীপ রিভিউয়ে নেতৃত্ব দেন। এক্ষেত্রে তার পরামর্শ হচ্ছে, স্বাস্থ্য পরিষেবাকে অবশ্যই ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্যদের নিকট থেকে অধিকতর সাড়া পাবার চেষ্টা করতে হবে, যদি ট্রাস্ট কেলেংকারির বিষয়ে জানতে চায়। বর্তমানে কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় কমিউনিটিগুলোর ২০টিরও কম পরিবার এই তদন্ত বা অনুসন্ধানে সম্পৃক্ত। অপরদিকে আড়াইশ’র বেশী শ্বেতাঙ্গ পরিবার এতে সংশ্লিষ্ট।
ধারনা করা হচ্ছে, চিঠি শুধু ইংলিশদের কাছে প্রেরিত হয়েছে। ওডেকনডেনের মতে, অনেক মহিলা অনুবাদ সেবা পেতে ব্যর্থ হন এবং প্রত্যাশী মুসলিম নারীরা পুরুষ সনোগ্রাফারদের কারনে আসতে বিরত থাকেন। তিনি বলেন, ট্রাস্টের প্রতি কমিউনিটিসমূহের মিসট্রাস্ট অর্থ্যাৎ অবিশ্বাস গভীরতর হয়েছে। রিভিউ টিম বা অনুসন্ধানী দলের পক্ষে তাদের কাছে পৌঁছা পর্বত ডিঙানোর শামিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিসে ওকেনডেন বলেন, চেয়ারপারসন হিসেবে আমি মনে করি, বর্তমান পরিস্থিতি অর্থ্যাৎ সাড়াদানের অনুপাত সম্পূর্ন অপর্যাপ্ত। এই সংখ্যা অপর্যাপ্ত। আমার নারীদের কন্ঠস্বর শুনেছি এবং জানার ক্ষেত্রেও তা অপ্রতুল। ট্রাস্টকে তার নিজস্ব জনসংখ্যা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে মাসে, ট্রাস্ট এমন পরিবারগুলোর কাছে ১ হাজার ৩৭৫ টি চিঠি প্রেরন করে, যে সব পরিবারের ঘটনা পর্যালোচনা করা আবশ্যক বলে তারা বিবেচনা করে। দেখা গেছে, এর মধ্যে ২৫ শতাংশেরও কম পরিবার সাড়া দিয়েছে।