দ্বিতীয়বারের মতো ব্রিটিশ হজ্ব পালনেচ্ছুরা হতাশ
অভিযোগ রয়েছে, সৌদী আরবের অনলাইন হজ্ব বুকিং সিস্টেম গতবারের মতো এবারও ব্রিটিশ মুসলিমদের হতাশ ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে। বহু মুসলিম ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৌদী হজ্ব ও উমরাহ সংক্রান্ত নুসুক অ্যাপ ব্যবহারে জটিলতা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। কড়া সমালোচনা করেছেন তাদের নিম্নমানের গ্রাহকসেবা নিয়ে।
অভিযোগ রয়েছে, হজ্ব বুকিংয়ের নুসুক সিস্টেমে ঢোকা সম্ভব হচ্ছে না এবং জবাব ছাড়াই ‘এরর’ (ত্রুটি রয়েছে) বার্তাটি পাওয়া যাচ্ছে। সম্পূর্ন অর্থ পরিশোধের পর (৬৫০০ পাউন্ড থেকে ১৪০০০ পাউন্ড) আবার ঐসব বুকিং বাতিল হয়ে যাচ্ছে নুসুক থেকে যোগাযোগ না করেই। বুকিং বাতিল হলেও অর্থ ফেরতদানের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাচ্ছে না।
অর্থ প্রদানে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যাচ্ছে না এবং যখন লোকজন বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করতে নুসুকের সাথে যোগাযোগ করছেন, একটি টিকেট দেয়া হচ্ছে কিন্তু প্রশ্নের জবাব না দিয়ে পরবর্তী একটি ই-মেইল প্রেরন করা হচ্ছে। গত বছর যুক্তরাজ্য ঘোষনা করেছিলো যে, হজ্ব প্যাকেজ বুকিং শুধুমাত্র একটি সরকার পরিচালিত অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে করা যেতে পারে, সেটা হচ্ছে ‘মোতাওয়ীফ সিস্টেম’।
শেষ মূহূর্তের বাস্তবায়নে বুকিং ও অর্থ পরিশোধ পদ্ধতিতে নানা সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। লোকজনকে এই সিস্টেমে যাচাই করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে এবং হজ্বের জন্য প্রচেষ্টার গোটা প্রক্রিয়াব্যাপী যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুর্বলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে লোকজন, যারা ইতোমধ্যে বছরের প্রথম দিকে তাদের হজ্বের অর্থ পরিশোধ করেছেন, তাদের স্বপ্ন নস্যাত হয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনলাইন পত্রিকা ‘ফাইভপিলার্স’- এর ডেপুটি এডিটর দিলি হোসেনও রয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, যখন আমি নিকট অতীতে একটি অনলাইন বুকিং সিস্টেম কাজ করবে বলে প্রশংসা করেছি এবং যদি তা চালু হয় তবে এতে ব্যয় ও সময় বাঁচবে বলে উল্লেখ করেছি, তখন আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে যে, সৌদী কর্তৃপক্ষ এটা করছে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কারনে। মুসলিম হজ্ব পালনেচ্ছুরা নির্বিচারে তা মেনে নেবে তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালনে এমনটিই তারা ধরে নিয়েছে।