প্রতি ৫ জনে একজনের ওপর উচ্চ আয়করের ছোবল আসন্ন
যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা এই বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে স্টিলথ্ ট্যাক্স অর্থ্যাৎ গোপন কর বৃদ্ধির খেসারত দিতে হবে। এটা প্রতি ৫ জন করদাতার মধ্যে ১ জনকে ৪০ শতাংশ আয়কর প্রদানে বাধ্য করবে কয়েক বছরের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর আয়করের থ্রেশোল্ড অর্থ্যাৎ শেষসীমা উঠিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের অর্থ হচ্ছে, প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজন শিক্ষক এবং ৮ জনের মধ্যে একজনেরও বেশী নার্সকে ২০২৭ সাল নাগাদ উচ্চ হারে আয়কর দিতে হবে। প্রভাবশালী ইনস্টিটিউট ফর ফিসক্যাল স্টাডিজ (আইএফএস) থিংক ট্যাংকের বিশ্লেষনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আইএফএস- এর অভিমত, ২০২৭ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশ কিংবা এর চেয়ে বেশী আয়কর প্রদানকারী মানুষের সংখ্যা ৭৮ লাখে পৌঁছবে। এর অর্থ হচ্ছে, এই সংখ্যা গত নব্বুইয়ের দশকের প্রথম দিকে উচ্চ কর প্রদানকারী বয়স্কদের ৪ গুন বেশী হবে। ঐ সময় কোন নার্সকেই উচ্চ আয়কর দিতে হয়নি এবং ১৬ জন শিক্ষকের মধ্যে মাত্র একজনকে তা প্রদান করতে হয়।
থিংক ট্যাংকটির গবেষকগন বলেন, এটা একটি সিসমিক শিফট অর্থ্যাৎ ভূমিকম্প জনিত স্থানচ্যুতির ইংগিত দেয় এবং ১৯৭৯ সালে জিওফ্রে হাউয়ি কর্তৃক ভ্যাট দ্বিগুন বৃদ্ধির পর থেকে সর্ববৃহৎ করবৃদ্ধির উদ্যোগ। শ্রমিকরা তাদের আয়ের ওপর উচ্চ ৪০ শতাংশ আয়করের সম্মুখীন। ৫০২৭১ পাউন্ড এবং ১২৫১৪০ পাউন্ডের মধ্যে যাদের আয়, তাদেরকে এই কর দিতে হবে।
২০২১ সালের মার্চে তৎকালীন চ্যান্সেলর মিঃ সুনাক ইনকাম ট্যাক্সের থ্রেশোল্ড ঘোষনা করেন, যাতে করদাতাদের উচ্চহারের কর প্রদান বন্ধ বা স্থগিত করা হয় ২০২৬ সাল পর্যন্ত। চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট আরো ২ বছর পর্যন্ত এটা সম্প্রসারন করেন। আইএফএস অর্থনীতিবিদ আইজ্যাক ডেলিস্টার বলেন, আয়করের ক্ষেত্রে গত ৩০ বছরের ইতিহাস হচ্ছে, উচ্চ হারের কর শুধুমাত্র অতি ধনীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিলো।
রক্ষনশীল দলের সাবেক নেতা স্যার আয়ান ডানকান স্মিথ বলেন, সরকার এমনটি করতে পারে না। উচ্চ করের পরিনতি হচ্ছে অর্থনৈতিক দুর্গতি বৃদ্ধি। কারন এর ফলে অর্থের প্রবাহ হ্রাস পায়।